জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সরকার দেখতে চায় মানুষ — মির্জা আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের মানুষ এখন আওয়ামী লীগের পরিবর্তন চায়। তারা নতুন সরকার দেখতে চায়। তারা জনগণের সরকার দেখতে চায়। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সরকার দেখতে চায়।
বুধবার, জানুয়ারি ০১, ২০২০, দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মির্জা আলমগীর বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সেটি প্রমাণ করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের অনেকে প্রশ্ন করেন আপনারা নির্বাচনে কেন গেলেন। তখন আমি বলি, আমরা যখন ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাইনি, তখন বলা হয়েছিল আমরা ভুল করেছি। সেজন্য আওয়ামী লীগের অধীনে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না তা প্রমাণ করতেই ২০১৮ সালে নির্বাচনে গিয়েছি। আবার প্রশ্ন এসেছে আমরা সিটি নির্বাচনে কেন যাচ্ছি। আজকেও বলছি, নির্বাচনে যাচ্ছি এই কথা প্রমাণ করার জন্য যে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আমি বারবার বলতে চাই যে এই ইসিকে সরাতে হবে, এই সরকারকে সরাতে হবে। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এ সরকারের নেতারা লম্বা লম্বা কথা বলেন। বন্দুক দিয়ে, পিস্তল দিয়ে, গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছেন। জনগণের সরকার তো তারা নন। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি রাস্তার মধ্যে একশ জনকে জিজ্ঞেস করেন ৯০ জন বলবে এ সরকারকে আমরা চাই না। ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার পুলিশ ছাড়া রাস্তায় আসুন, দেখুন মানুষ কি বলে। দেখুন দেওয়ালে কি লেখা আছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শীতের মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত কষ্টে রয়েছেন। শীতের মধ্যে তার কক্ষ উষ্ণ করতে তার জন্য একটি রুম হিটার দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্মম এই সরকার সেই হিটার রাখার অনুমতি দেয়নি।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।