অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া ‘গণতন্ত্র’ কল্পনাই করা যায় না

0

অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনাই করা যায় না। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য হলো একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সরকার গঠিত হয়। জনগণ তাদের এ ভোটাধিকার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে থাকে। পৃথিবীর বেশির ভাগ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আমাদের দেশের মতো জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের সমান ভোটাধিকার থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, যা জনগণ তাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে কার্যকর করে থাকে।

অথচ বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলেছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও বিবেকশূন্য হয়েছেন। তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করছেন। সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগ সরকারদলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছেন। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন দেশে এখন কল্পনায় পরিণত হয়েছে। আর এই কল্পনাকে বাস্তবে রুপ নিতে প্রয়োজন ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর গণআন্দোলন।

পাশাপাশি জনগণকেও এ আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। পাঠ করতে হবে শপথ বাক্য। তাই আসুন আমরা জনগণ আমরা প্রতিজ্ঞাবাক্য পাঠ করি এই বলে যে, আমরা কারও সেবাদাসে পরিণত হতে চাই না। কারও হুকুমের দাসও হতে চাই না। আমাদের যে অধিকার তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নিজেদের আরও বিকশিত করতে চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটা আবাসস্থল গড়ে তুলতে চাই, যেখানে তারা মুক্ত অবস্থায় বাস করতে পারবে। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর যে দানব বসে আছে, তার থেকে দেশকে মুক্ত করি।

পরিশেষে শুধু বলবো বিদ্যমান ফ্যাসিবাদি শাসনব্যবস্থার বিপরীতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের লড়াইয়ে, একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারকে সরানোর যে শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি- তাঁরই সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি। এবং সকল ভয় ও আতংকের উর্ধ্বে উঠে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনায় জনগণের সকল অধিকার নিশ্চিত করি, এবং দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করি।

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com