সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণেই জনজীবন আজ বিপন্ন: মির্জা ফখরুল

0

সরকারের উদাসীনতা অযোগ্যতার কারণেই করোনা সংক্রমণে জনজীবন বিপন্নবলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২১ জুলাই) সকালে ঈদের নামাজ শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পরদলের মহাসচিব মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে এই সরকারের উদাসীনতা অযোগ্যতার কারণে জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।আমরা আজ এখানে কবর জিয়ারত করে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া করেছি যে, তিনি যেন এই ভয়াবহ মহামারি যা সারাবিশ্বে সমগ্র মানবজাতিকে বিপন্ন করে ফেলেছে তা থেকে রক্ষা করেন, আল্লাহতায়ালা যেন এই দেশের মানুষকে ক্ষমা করেন এবং এই ভয়াবহ মহামারি থেকে তাদের মুক্ত করেন।

ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এমন একটা সময় আমরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছি, যখন আমাদের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি সারাজীবন ত্যাগস্বীকার করে এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন তিনি আজ কারারুদ্ধ হয়ে আছেন অসুস্থাবস্থায়। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি দেশান্তরী হয়ে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন।

লক্ষ লক্ষ মানুষ আজকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছেএই একটা অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজ করছে।গণতন্ত্রহীনতার এই সময়ে আল্লাহতায়ালার কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি, দোয়া চেয়েছি আল্লাহতায়ালা যেন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, আল্লাহতায়ালা যেন এদেশের মানুষকে সত্যিকার অর্থেই ১৯৭১ সালের যে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সুযোগ করে দেন।

এদিকে করোনাভাইরাস রোধে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই দূরত্ব বজায় রাখবেন, মাস্ক পরবেন এবং নিজেদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমি ঈদ মোবারক জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি সকলের জন্য তারা যেন করোনা মহামারি থেকেমুক্ত হতে পারেন।

বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে বিএনপিমহাসচিব শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে জিয়ারতে আসেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা ফাতেহা পাঠ করেবিশেষ মোনাজাত করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন।২০১৮ সালে (ষড়যন্ত্রমূলক) দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেইধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।

ঈদের দিন জাতীয় স্থায়ী কমিটির পর মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুলআলম নীরব সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহানগর যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী জিয়ার কবরেপুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com