আমবাত কেন হয়? ঘরোয়া উপায়ে সারাবেন যেভাবে
ছোট-বড় সবারই হতে পারে আমবাত। ত্বকের বিভিন্ন প্রকার অ্যালার্জির মধ্যে আর্টিকেরিয়া বা আমবাত অন্যতম। বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষই এই সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে ওঠে সঙ্গে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয়। তবে আমবাত ছোঁয়াচে ধরনের নয়। যদিও এটি চুলকানি ও বেদনাদায়ক, তবে এটি বিপজ্জনক নয়।
আমবাতের সমস্যা প্রায়শই খাবার বা ওষুধের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ঘটে থাকে। যদিও এ সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। তবে অনেকেই নিজেদের অজান্তেই কোনো না কোনো কারণে এই সমস্যায় বারবার আক্রান্ত হন।
যখন প্রায় প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহে ৬দিন বা তার বেশি সময় ধরে এর প্রাদুর্ভাব ঘটে, তখন একে ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিকেরিয়া বা ক্রনিক স্পনটেনিয়াস আর্টিকেরিয়া বলা হয়। তবে এক শতাংশ বা তার কম লোকেরা ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিকেরিয়ায় ভোগেন।
এটি ২০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ। সাধারণত ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিকেরিয়া ২৪ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় না। তবে পড়ে আবারও ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে। যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক।
আমবাত কেন হয়?
যদিও এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সঠিক কোনো কারণ জানেন না। তবে ইমিউন সিস্টেমের সমস্যার কারণে এটি ঘটে বলে জানা যায়। এছাড়া থাইরয়েড, হরমোনের সমস্যা বা ক্যানসার আছে যাদের তারা দীর্ঘদিন এ সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এমনকি জীবনধারায় অনিয়ম কিংবা কিছু কারণেও এ সমস্যা বাড়তে পারে। যেমন- মদ্যপান, টাইট পোশাক পরা, অ্যাসপিরিন ও আইবুপ্রোফেনের মতো নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ গ্রহণ, অতিরিক্ত ব্যায়াম, ঠান্ডা বা অতিরিক্ত তাপ ইত্যাদি কারণে আমবাত বাড়তে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী আমবাত চিরকাল স্থায়ী হয় না। বেশিরভাগ মানুষই এ সমস্যায় এক থেকে দেড় বছর ভোগেন। অল্প সংখ্যক লোকের জন্য, এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
যদিও এর কোনো প্রতিকার নেই, তবে ওষুধ ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আমবাত থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এর পাশাপাশি ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা মেনে চলতে পারেন। জেনে নিন করণীয়-
> আমবাত দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা সেঁক নিতে পারেন। এটি চুলকানি থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করবে ও প্রদাহ কমাবে। আপনি দিনে একাধিকবারও ঠান্ডা সেঁক নিতে পারবেন।
> ওটমিল ও বেকিং সোডা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করলে স্বস্তি পাবেন। এতে আমবাতের চুলকানি ও জ্বালাভাব কমতে পারে।
> অ্যালোভেরার রস আমবাত দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা লাগাতে হবে। তবে তার আগে পরীক্ষা করে নিন অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের জন্য প্রযোজ্য কি না।
> পারফিউম, সুগন্ধযুক্ত সাবান বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগে দুবার ভাবুন। এছাড়া সূর্যের আলোয় থাকার সময় সতর্ক থাকুন।
> আমবাত এড়াতে অত্যধিক ঠান্ডা ও গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। এর পাশাপাশি ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক পরা উচিত।
সূত্র: ওয়েবএমডি/মেডিকেল নিউজ টুডে