বান্দার যে গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়

0

আল্লাহ মহান। তিনি মানুষকে অতি ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। বান্দাকে ক্ষমা করে দিতে তিনি কত উপলক্ষ্যই না অবলম্বন করেন। বান্দাকে গোনাহ থেকে মুক্ত রাখতে হাদিসে পাকে অনেক উৎসাহমূলক নসিহত ও সুযোগ পেশ করেছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

কোনো বান্দা যদি গোনাহের সংকল্প করে তা করার আগ পর্যন্ত সে গোনাহ লেখা হয় না, বরং আল্লাহ তাআলা গোনাহের সংকল্প করার গোনাহ ততক্ষণ লেখেন না যতক্ষণ না তা করা হয়। বরং আল্লাহ তাআলা সে গোনাহ ক্ষমা করে দেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের অন্তরে উদিত (সব) ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা)-এর গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে কিংবা মুখে বলে।’ (বুখারি)

হাদিসের ঘোষণা বান্দার আল্লাহর মহা অনুগ্রহ যে, তিনি মনের ওয়াসওয়াসা বা সংকল্পের গোনাহ ক্ষমা করে দেন, যদি সে তা কাজে বাস্তবায়ন না করে।

সুতরাং মানুষের উচিত, প্রতিদিন আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করা। মনের অজান্তে ঘটে যাওয়া ওয়াসওয়াসা বা সংকল্পের সব গোনাহ মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেন। গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে এ ইসতেগফার বেশি করা-

– اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

– رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

– رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)

– رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’
অর্থ : ‘(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে যাবতীয় ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। নিজেদের আমলকে সুন্দর করতে গোনাহমুক্ত জীবন গড়তে ক্ষমা প্রার্থনার জিন্দেগি যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com