ইমরান খানসহ কারবন্দি নেতাদের মুক্তির কর্মসূচিতে আফগানরা, দাবি পাকিস্তান সরকারের
দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানসহ কারবন্দি নেতাদের মুক্তিসহ কয়েকটি দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই)। বলা হচ্ছে, ইমরানের মুক্তির দাবিতে এটা চূড়ান্ত আন্দোলনের অন্যতম পর্যায়।
তবে পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বোমা ফাটিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি। ডি-চকে এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান পিটিআই বিক্ষোভ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এসব বিক্ষোভে বিদেশি নাগরিকরাও অংশগ্রহণ করছে। তার মতে, বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক, বিশেষ করে আফগান নাগরিকদের বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সম্পর্ক খুব বেশি সুখকর নই। অন্যদিকে তালেবানের সঙ্গে ইমরান খানের সম্পর্ক অনেক বেশি নিবিড় মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে পিটিআইয়ের সমাবেশ আফগান নাগরিকদের অংশগ্রহণের অভিযোগ নতুন বিতর্ক তৈরি করতে পারে।
বিশেষ করে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে সব সহিংসতা হচ্ছে, তার দায়ভার পিটিআই এবং ইমরান খানের ওপর চাপানো হবে। এছাড়া আফগান নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতার অজুহাতে পিটিআইয়ের ওপর আরো দমন পীড়ন বাড়বে।
ডি-চকে সাংবাদিক সম্মেলনে নকভি বলেন, পিটিআইয়ের শেষ বিক্ষাভ থেকে গ্রেফতার হওয়া ১০০ জনের মধ্যে ৩৩ জন আফগানিস্তানের, এবং গত দুই দিনে আরও বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
তিনি পিটিআইয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আপনার প্রতিবাদে কি পাকিস্তানি নাগরিকরা জড়িত, নাকি এটি বিদেশিদের নেতৃত্বে আন্দোলন?
নকভি যোগ করেছেন যে, বিক্ষোভ শেষ হলে কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে ক্ষয়ক্ষতির একটি মূল্যায়ন উপস্থাপন করবে, যাতে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তার মতে, পিটিআই বিক্ষোভ দেশের ক্ষতি করে এবং নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট কষ্টের সৃষ্টি করে।
পাক স্বরাষ্টমন্ত্রীর দাবি, মোবাইল পরিষেবা পাকিস্তান জুড়ে চালু রয়েছে, যদিও পরিস্থিতি পরিচালনা করার জন্য মোবাইল ডেটা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।