ফ্যাটি লিভার কেন হয়?
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লিভার। যদি কোনো কারণে এই অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। লিভারের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো ফ্যাটি লিভার।
মূলত দু’ধরনের ফ্যাটি লিভার হতে পারে যেমন- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (মদ্যপানের কারণে এটি হয়) ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে ঘটে)।
লিভারে সামান্য কিছু ফ্যাট বা চর্বি এমনিতেই থাকে, এর চেয়ে বেশি চর্বি সেখানে বাড়তে থাকলে, তা ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রথমদিকে ফ্যাটি লিভারের কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না, তবে সমস্যা বাড়তে শুরু করলে ছোটখাট বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয় যেমন- পেটের উপরের দিকে ব্যথা, খাওয়ার পর অস্বস্তিভাব, ক্ষুধা কম লাগা, ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি, পেট বড় হয়ে যাওয়া বা ভুঁড়ি হওয়া ইত্যাদি।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আরও কিছুটা বেড়ে গেলে হতে পারে লিভার সিরোসিস, যা একটি প্রাণঘাতী একটি অসুখ। এর থেকে পরবর্তী সময়ে লিভার ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
তাই লিভার সুস্থ রাখতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। যারা এরই মধ্যে ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন তারা কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার জন্য হতে পারে বিপজ্জনক।
ভাজাপোড়া খাবার
ভাজাপোড়া খাবারের প্রতি কমবেশি সবারই দূর্বলতা আছে। তবে বার্গার থেকে চিপস কিংবা পাস্তা বা পিজ্জা এসব মুখোরোচক খাবার কার না পছন্দের!
এসব খাবার খাওয়ার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে এগুলো প্রচুর পরিমাণে তেল দিয়ে তৈরি করা হয়, যা লিভারের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই লিভার সুস্থ রাখতে এসব ডিপ ফ্রাই খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ঘি বা মাখন
ঘি ও মাখনের মধ্যে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তাই স্বাভাবিকভাবেই লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ঘি বা মাখন বুঝেশুনে খাওয়া উচিত।
গরু বা খাসির মাংস
রেডমিট স্বাস্থ্যের পক্ষে যে ক্ষতিকারক তা বারবার বলেন চিকিৎসকরা। যদি একান্তই ছেড়ে দিতে না পারেন তাহলে অন্ততপক্ষে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন গরুন বা খাসির মাংস।
কোল্ড ড্রিঙ্ক
লিভার সুস্থ রাখতে হলে যে কোনো ধরনের কোল্ড ড্রিঙ্কস বা সফট ড্রিঙ্কস এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো না। কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে অতিরিক্ত মিষ্টি উপাদান, যা লিভারে চর্বির পরিমাণ বাড়াতে পারে।
মদ্যপান
অ্যালকোহল যে শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়, সে কথা সবারই জানা। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে লিভার সিরোসিসের মতো কঠিন অসুখও ডেকে নিয়ে আসতে পারে। খুব প্রয়োজন হলে একমাসে একদিন বা দু’দিন খেতে পারেন, তবে প্রতিদিন একেবারেই নয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস