কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে
কৃমির সমস্যায় ছোট-বড় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অন্ত্রে কৃমি ও পরজীবীর জন্ম হয়। কৃমির সমস্যা যদিও সাধারণ। তবে এই বিষয় নিয়ে অবহেলা করা মোটেও উচিত নয়।
কৃমি অন্ত্রে বাসা বাঁধলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- ক্ষুধামন্দা, ক্লান্তি, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, মলদ্বারে চুলকানি, পেট খারাপ হওয়া ইত্যাদি।
যদিও ওষুধের মাধ্যমে সহজেই কৃমি দূর করা যায়, তবে ঘরোয়া উপায়েও চাইলে খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
মাত্র কয়েকটি খাবারই দূর করতে পারে কৃমির সমস্যা। চলুন তবে জেনে নেওয়অ যাক কৃমি থেকে বাঁচতে ডায়েটে কোন কোন খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন-
> রসুন শরীরের ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী ধ্বংস করতে দুর্দান্ত কার্যকর। এতে এলিসিন ও এজোয়েন যৌগ এ সমস্যার জন্য দায়ী অ্যামিবা ধ্বংস করে। তাছাড়া নিয়মিত রসুনের সেবন শরীরকে ডিটক্সিফাই করে ও প্যারাসাইট টক্সিন দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেশন থেকেও রক্ষা করে।
> সবার রান্নাঘরেই থাকে হলুদ। বহুগুণসম্পন্ন হলুদ অ্যান্টি-ক্যানসার, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও ক্ষত নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। হলুদ রক্ত পরিষ্কার করতে পারে, ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী ধ্বংসও করতে পারে।
> কাঁচা কুমড়ার বীজে থাকে কারকারবিটিননামক যৌগ। যা অ্যান্টি-পরজীবী বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি অন্ত্র ও পরিপাকনালির কৃমিকে ধ্বংস করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
> গবেষণা অনুসারে, পেঁপের বীজ পরজীবী কৃমির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দারুণ কার্যকর। পেঁপের বীজ অন্ত্রের পরজীবী যেমন হুকওয়ার্ম, টেপওয়ার্ম ও পিনওয়ার্মকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
> নিমপাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে। যা অন্ত্রকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাকে। এছাড়া নিমপাতা অন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। সকালবেলা খালি পেটে কয়েকটি নিম পাতা চিবিয়ে খেলেই দূর হবে কৃমি।
সূত্র: বোল্ডস্কাই