অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সের চাপের মুখে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সের চাপের মুখে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। লেবানন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল ও আল জাজিরা।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে সোমবারও হিজবুল্লাহ তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইসরায়েলি বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও দক্ষিণাঞ্চলের নৌ ঘাঁটিও। তাছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন অবকাঠামো বাদ যায়নি।
সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ইয়েনেট’ বলেছে, ইসরায়েলের মনোভাব লেবাননকে জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাব আমরা পর্যালোচনা করেছি। বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে।
এছাড়া লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিও তারা গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত আমোচ হোচস্টেইন গত সপ্তাহে বৈরুতে জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই শেষ সুযোগ। সম্ভাব্য মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। এটাকে পরীক্ষামূলক চুক্তি হিসেবে দেখা হবে।