যে ৩ কারণে পিসিওডি’র রোগীদের পাইলেটস করা জরুরি-

0

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডির সমস্যায় বিশ্বের প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে একজন ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শরীরচর্চার অভাবই মূলত এই রোগের অন্যতম কারণ। সাম্প্রতিক বিশ্বে এই রোগ জটিল আকার ধারণ করেছে।

পিসিওডি আসলে কি? পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি হলো একটি এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের সমস্যা। এটি একটি হরমোন ভারসাম্যহীনতা সিন্ড্রোম। এক্ষেত্রে ওভারিতে সিস্ট দেখা দেয়।

পিসিওডির সমস্যা সমাধানের অন্যতম পন্থা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে পিসিওডি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে পাইলেটস (শরীরচর্চার এক পদ্ধতি) দুর্দান্ত কার্যকরী।

এ বিষয়ে ভারতের সেলিব্রেটি ফিটনেস ট্রেইনার ইয়াসমিন করাচাওয়ালা জানিয়েছেন পিসিওডি’র রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পাইলেটস খুবই উপকারী।

পিসিওএডির লক্ষণ কী কী?

>> অনিয়মিত মাসিক
>> শরীরে অতিরিক্ত লোম
>> স্থূলতা
>> অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন
>> ডিম্বস্ফোটন ব্যর্থতার কারণে বন্ধ্যাত্ব
>> চুল পড়া ও পাতলা হওয়া যাওয়া
>> ব্রণ ও তৈলাক্ত ত্বক

যে ৩ কারণে পিসিওডি’র রোগীদের পাইলেটস করা জরুরি-

সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ইয়াসমিন করাচিওয়ালা জানান, পিসিওডি মোকাবেলায় নারীদের জন্য সেরা ব্যায়ামগুলোর মধ্যে একটি হলো পাইলেটস।

এই ব্যায়াম শুধু শরীরকে টোন করে না বরং পেশি শক্তি বাড়ায়। পাইলেটস এক্সারসাইজ স্ট্রেস-সম্পর্কিত কর্টিসলের মাত্রাও কমায়।

যা পিসিওডিতে আক্রান্ত নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। জেনে নিন কোন ৩ কারণে পিসিওডি’র রোগীদের পাইলেটস করা জরুরি-

হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে

নিয়মিত পাইলেটস এক্সারসাইজ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে বারবার মেজাজ পরিবর্তনসহ নানা সমস্যার সমাধান ঘটে। ব্যায়াম করার সময় মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে হরমোন নিঃসরণের অস্বাভাবিকতাও নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্ট্রেস কমায়

নিয়মিত পাইলেটস করার মাধ্যমে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য। পিসিওডিতে আক্রান্ত নারীরা উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভোগেন, তবে পাইলেটস করার মাধ্যমে এর থেকে রেহাই মিলবে।

পেশি ভর বাড়ায় ও ক্যালোরি পোড়ায়

পাইলেটস করার মাধ্যমে শরীরের অঙ্গবিন্যাসের উন্নতি ঘটে, পেশি শক্তিশালীকরণ ও টোনিংয়ের ক্ষেত্রেও এটি দুর্দান্ত কাজ করে। পিসিওডির রোগীরা স্থূলতায় বেশি ভোগেন, সেক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাইলেটস খুবই কার্যকরী।

কারণ এটি চর্বি ও ক্যালোরি পোড়ায় দ্রুত আবার পেশির ভরও তৈরি করে। যদিও পাইলেটস অ্যারোবিক ওয়ার্কআউটের মতো ততটাও কার্যকর নয় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, তবে এটি ফিট থাকতে সহায়তা করে।

পিসিওডির সমস্যায় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এর পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চাসহ জীবনযাত্রায় আনতে হবে পরিবর্তন, তাহলেই আপনি সুস্থ থাকবেন।

সূত্র: হেলথশটস

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com