ট্যাটু করার সময় যে কালি ব্যবহার করা হয় তা থেকে হতে পারে ক্যানসার
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেড়েছে ট্যাটুর প্রতি আসক্তি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই এখন ট্যাটু করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানেই এখন মেলে ট্যাটু পার্লারের দেখা। তবে অনেকেরেই হয়তো জানা নেই, ট্যাটু করার সময় যে কালি ব্যবহার করা হয় ত্বকে, তার থেকে হতে পারে ক্যানসারও।
বিংহামটনের ‘স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক’ এর গবেষকরা মার্কিন ট্যাটুশিল্পীদের ব্যবহার করা প্রায় ৫৬ ধরনের কালি পরীক্ষা করেছেন। ট্যাটুর কালিতে দুটি অংশ থাকে- একটি রঙ্গক ও অন্যটি ক্যারিয়ার সমাধান।
রঙ্গক একটি আণবিক যৌগ হতে পারে যেমন একটি নীল রঙ্গক, বা একটি কঠিন যৌগ যেমন টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড। অন্যদিকে ক্যারিয়ার দ্রবণটি রঙ্গকটিকে ত্বকের মধ্য স্তরে পরিবহন করে।
গবেষকরা রঙ্গকগুলোর রাসায়নিক উপাদানগুলি বিশ্লেষণ করতে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিল। এটি করার জন্য ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপিসহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেছিল। তারপর দেখা যায়, ৫৬ কালির মধ্যে প্রায় ২৩ ধরনের কালিতেই আছে বিপজ্জনক অ্যাজো যৌগ।
এছাড়া কার্সিনোজেনিক অ্যারোম্যাটিক অ্যামাইন, পলিসাইক্লিক অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বনের মতো ক্ষতিকর পদার্থও পাওয়া গেছে ওইসব কালিতে। এ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে জানান গবেষকরা।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ট্যাটুর কালি ঠিক কী ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, সে সম্পর্কে ট্যাটু শিল্পীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ধারণা থাকতে হবে।
না হলে বিপজ্জনক এসব কালি ত্বকে প্রয়োগের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর আগে ইউরোপীয় কমিশনে নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপের প্রায় ৭ দেশে ট্যাটু নিষিদ্ধ করা হয়।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট