ইংল্যান্ডকে বিদায় বললেন মরগান

0

গুঞ্জনটা ওড়াওড়ি করছিল কয়েকদিন ধরেই। নেদারল্যান্ডস সফরের ব্যর্থতায় নাকি খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ দেখে নিয়েছেন ইয়োন মরগান। সেই জল্পনা এবার বাস্তবে রূপ নিলো। সত্যিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। কীর্তি গেঁথে, অধিনায়ক থেকেই সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলেন মরগান। আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সময়ের হিসাবে সাড়ে ৭ বছর। অনেক খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারই এতটা লম্বা হয় না। অথচ মরগান ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের ক্রিকেট নেতৃত্ব দিয়েছেন এতটা সময়। সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে ইতি টেনে দিলেন ক্যারিয়ারের। সবচেয়ে বড় কথা, ইংল্যান্ডের কোনও অধিনায়ক যা করতে পারেননি, মরগান সেটি করে দেখিয়েছেন। যে বিশ্বকাপের জন্য ইংলিশদের আক্ষেপ-হতাশার শেষ ছিল না, মরগানের হাত ধরেই ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড।

সামনেই আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে এ বছর আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ধারণা করা হচ্ছিল, ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বিদায় বললেন হয়তো। কিন্তু নেদারল্যান্ডস সফরে দুই ম্যাচে রান করতে পারায় মরগান বুঝে যান, সময় হয়েছে বিদায় নেওয়ার। এরপর তিনি কথা বলেছেন ইসিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি ও সাদা বলে ইংলিশদের নতুন কোচ ম্যাথু মটের সঙ্গে। আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক।

ইসিবির দেওয়া বিবৃতিতে মরগান বলেছেন, ‘সবকিছু গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার পর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। নিঃসন্দেহে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উপভোগ্য ও সাফল্যময় অধ্যায়ের ইতি টানার সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না। তবে আমার মনে হয়, এটাই সঠিক সময়।’

কেন ‘এটাই সঠিক সময়’ মনে হয়েছে মরগানের? সেই উত্তরটা বাঁহাতি ব্যাটার দিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসকে, ‘অবসর নিয়ে আমি অনেক সাবেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানতে চেয়েছি তারা কখন ইতি টেনেছিলেন, সময়টা কীভাবে এসেছিল। তারা আমাকে বলেছেন, একটা সময় তুমি নিজেই বুঝতে পারবে। কিংবা আরেকটি সহজ উত্তর ছিল, ঘুম থেকে উঠেই তুমি বুঝতে পারবে। আমার সেই মুহূর্তটা এসেছিল আমস্টারডামে (নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন)।

৩৫ বছর বয়সী মরগানের ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক ২০০৯ সালে। তবে আন্তর্জাতিক অভিষেক তার আরও আগে, ২০০৬ সালে জন্মস্থান আয়ারল্যান্ডের জার্সিতে। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের হয়ে শুধু খেলেনইনি, নেতৃত্ব দিয়েছেন লম্বা সময়। তার ২২৫ ওয়ানডে ও ১১৫ টি-টোয়েন্টি ইংল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড। পাশাপাশি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংলিশদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। ওয়ানডেতে করেছেন ৬ হাজার ৯৫৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ৪৫৮ রান।

মরগান অবসর নেওয়ার ইংল্যান্ডকে এখন খুঁজতে হবে নতুন সীমিত ওভারের অধিনায়ক। এই দৌড় ফেভারিট জস বাটলার। ডেপুটি হিসেবে তিনিই এতদিন মরগানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইংলিশদের। সবশেষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও তার অধীনে খেলেছে ইংল্যান্ড।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com