দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের দৃঢ় প্রত্যয়
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতা রুখতে এবার অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী নারীরাও।তাদের কথা মরতে যদি হয়তাহলে সবাই একসঙ্গেই মরবো লড়াই করে।নারীদের সঙ্গে শিশুরাও যোগ দিচ্ছে অস্তিত্বের এ লড়াইয়ে।
পবিত্র মসজিদ আল–আকসায় ইসরাইলি তাণ্ডবের কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেছেন, বোমার জবাব বোমাদিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সংগ্রামীরা বিন্দুমাত্র পিছু হটবে না।
তিনি আরো বলেছেন, বোমার পরির্তে ইটপাটকেল নিক্ষেপের দিন বহু আগে শেষ হয়ে গেছে; এখন ইসরাইলির শত্রুর সঙ্গে কথাহবে শক্তির ভাষায়। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় তাদের তিন শীর্ষনেতা নিহত হয়েছেন। এর প্রতিশোধ নিতে আশকেলনে রকেট হামলা চালিয়েছে পিআইজের সামরিক উইং কুদস ব্রিগেড। তাদেরএ হামলায় ইসরায়েলের দুইজন নিহত ও আরও এক ডজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
ইহুদি উগ্রবাদীদের জেরুজালেম দখল দিবস উদযাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল–আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ মুসল্লি আহত হন।
ফিলিস্তিনিদের হামলার ভয়ে ইসরাইলের বৃহৎ শহর লডে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে হামাসের রকেট আছড়ে পড়ছে তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে। এতেকমপক্ষে ৫ ইসরাইলি নিহত এবং কয়েকশ‘ আহত হয়েছে।
হামাসের রকেট হামলায় প্রাণভয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছুটছে ইহুদিরা। বুধবার ভোরে ইসরাইলের লড শহরে বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকা দুই ইসরাইলি রকেট হামলায় নিহত হয়েছেন। এসময় তাদের গাড়িটি রকেট হামলায় উড়ে যায়।