বাড়িওয়ালার ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে, ২ মাস পর মর্মান্তিক মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর
ভালোবেসে বিয়ের দুই মাস পর স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
নিহতের নাম কানিজ ফাতেমা (২৫)।
শুক্রবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িল চৌরাস্তায় কানিজ ফাতেমাকে ছুরিকাঘাত করেন তার স্বামী সাফকাত।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কানিজ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য কাটাদিয়া এলাকায়।
কানিজ ফাতেমার ছোট বোন আয়শা আক্তার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় তার বোনের স্বামী সাফকাতের নিজেদের বাড়ি। ওই বাড়ির পাশের বাসায় তারা ভাড়া থাকতেন।
তিনি বলেন, পাশাপাশি বাসা হওয়ায় কানিজ ও সাফকাতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই মাস আগে তারা নিজেরাই বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই নানা সমস্যা শুরু হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
জানা গেছে, কানিজের বাবা শাহ আলম হাওলাদার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কানিজ এক সপ্তাহ আগে বাবার বাসায় ফিরে আসেন। সাফকাত বুধবার কানিজকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে কানিজের কোনো খোঁজ মিলছিল না।
শাহ আলম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার কানিজের মা ও খালা তার খোঁজে গেলে কানিজকে তারা অনেকটা নিস্তেজ অবস্থায় পান। সেসময় কানিজ তার মা ও খালাকে জানান, কফির সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়েছে। এরপর কানিজের মা ও খালা মিলে তাকে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসছিলেন। পথে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় সাফকাত এসে তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, পুরো ঘটনাটি তারা এখনও জানেন না। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন।
তবে ভুক্তভোগীরা কেউ এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। সব তথ্য জানার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।