স্বৈরাচার সরকারের গুলিতে নিহত ডা. মিলন হত্যাকাণ্ড ‘বিচার ছাড়াই পরিসমাপ্তি’: রিপন

0

তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের গুলিতে নিহত সাবেক ছাত্রনেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন হত্যাকাণ্ড বিচার ছাড়াই সমাপ্তি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড.আসাদুজ্জামান রিপন।

ডা. মিলন হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আজকে যাকে উদ্দেশ্য করে স্মরণ করে এখানে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে সেই ডা. শামসুল আলম খান মিলন শহীদ হলেন। তার হত্যাকাণ্ডের পেছনে কেউ না কেউতো দায়ী ছিল নাকি? কেউ তো দায়ী ছিল? এই হত্যাকাণ্ডের পরে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার ফলাফলটা কী হলো? এত বছর পরেও মিলন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে? হয় নাই।’

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডাকসু এবং নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত বিএমএ’র তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা ডা. শামসুল আলম মিলনের ৩০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিচার না হওয়ার কারণ উল্লেখ করে রিপন বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি এখনও আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতি করছেন। তৎকালীন ডাক্তার মুশতাক হোসেনসহ (জাসদ ছাত্রলীগের নেতা) অনেকেই সাক্ষী ছিলেন। তারা সময়মতো কোর্টে যাননি, সাক্ষী দেননি। সাক্ষী না দেয়ার কারণে আদালত তাদেরকে বৈরী সাক্ষী বানিয়েছিল। বৈরি মানে রাষ্ট্র তাদেরকে সাক্ষী বানিয়েছিল, তারা সাক্ষ্য দেননি, সত্য কথা বলেননি। যার কারণে মিলন হত্যাকাণ্ডটা আদালত কর্তৃক বাতিল হয়ে গেল। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় এসব ইতিহাসের যারা সঙ্গী আমরা যারা অগ্রজ, আমাদের সবার জন্য এটি একটি লজ্জার বিষয়। এত বড় একটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বিচার ছাড়াই সমাপ্তি ঘটে গেল।’

বিএনপির সাবেক এই আন্তজাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সবসময় বলি, আন্দোলন-সংগ্রাম বৃথা যায় না । কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম, মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষ জীবন দিলেন, তাতে আমরা কী পেয়েছি? আমরা কি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পেয়েছি? আমরা জীবন দেই ত্যাগ স্বীকার করি হামলা-মামলার শিকার হই। আমাদের জীবনটাই একেবারে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু মুষ্টিমেয় কিছু লোক যারা গণতন্ত্র হত্যা করে তারা দুর্বৃত্ত। রাষ্ট্রীয় সম্পদ যারা লুণ্ঠন করে, তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কবরস্থ করেছে। দেশটাকে খেয়ে ফেলেছে। এদের বিতারিত করতে হবে।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন মনি কামরুজ্জামান রতন, আসাদুজ্জামান আসাদ ও ও ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com