যোগীর ইস্তফা চাইলেন স্বরা ভাস্কর
উত্তরপ্রদেশে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর উনিশ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় ভারত জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর ধর্ষিত হওয়া ওই তরুণী হাসপাতালে ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
এ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফা দাবি করলেন স্বরা ভাস্কর। এক টুইটে প্রসঙ্গটি টেনে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন। তার মতে, যোগীর অধীনে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ ‘মহামারি’তে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
উত্তরপ্রদেশে হাতারাস এলাকায় নিম্নবর্ণের ওই নারীকে ধর্ষণ ও নিপীড়ন চালায় উচ্চবর্ণ হিন্দুদের চার ব্যক্তি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার ধর্ষককে। যদিও তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।
স্বরা লেখেন, এটাই সময়। যোগী আদিত্যনাথের উচিত ইস্তফা দেওয়া। তার অধীনে ইউপি’র আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তার নীতির কারণে বর্ণ প্রথা, ভুয়া এনকাউন্টার, দল বেঁধে ধর্ষণ ও সর্বোপরি উত্তর প্রদেশে ধর্ষণ মহামারি চলেছে। হাতরাসের ঘটনা এর একটি উদাহরণ।
ওই পোস্টে অনেকের সমর্থন পেয়েছেন ‘নীল বাটে সানাটা’ নায়িকা। আবার কেউ কেউ বিদ্রূপও করেছেন। এর আগে অন্য পোস্টে বর্ণ প্রথা নিয়ে নিন্দা করেন তিনি।
জানা যায়, ধর্ষণের পর গুরুতর অবস্থায় তরুণীকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষকদের নির্যাতনে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল। দুই সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ স্থানীয়ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। দলিতরা দেশটি জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
ধর্ষিতার ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঘটনার প্রথম ১০ দিন পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করেনি। তাকে মৃত ভেবে রেখে গিয়েছিল তারা। প্রাণ ফিরে পেতে ১৪ দিন লড়াই করেছে সে।
মৃত তরুণীর মা বলেন, “ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যেই ছিলাম আমি। তবে, ওর চিৎকারের আওয়াজ পায়নি। না হলে ওকে বাঁচিয়ে নিতে পারতাম।”
পুলিশ জানায়, নিজের গ্রামেই পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে তরুণীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। ওই তরুণী নিম্নবর্ণের তফশিলী সম্প্রদায়ের।