আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৮ গুলিবিদ্ধ, আহত ২৫

0

পাবনার সুজানগর উপজেলা ও আমিনপুর থানার বিলগাজনায় ভাটিকয়ায় একটি জলাশয়ের দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়সহ সংঘ’র্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর)  দিবাগত রাতে আমিনপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দুই জন ও আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল হোসেন মাস্টার বাদী হয়ে ২০ জনকে আসা’মি করে মা’মলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই মা’মলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।এদিকে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব সমর্থিত রানীনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার আনন্দে বনভোজন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ত্রিমোহনী স্লুইচগেট এলাকায় মহিষ মেরে তারা বনভোজন করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার বিলগাজনার ভাটিকয়া গ্রামে একটি জলাশয় জোরপূর্বক দখল করে মাছ শিকার করছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব সমর্থিত ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন ও তার লোকজন। রবিবার দুপুরে জলাশয়ে মাছ ধরতে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন সমর্থিত খাইরুল হোসেন মাস্টারের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘ’র্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন।আহতরা সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।তিনি বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে আমিনপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দু’জনকে আসা’মি করে অস্ত্র আইনে মা’মলা করেন। ওই মা’মলায় শাহাদত হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল হোসেন মাস্টার বাদী হয়ে ২০ জনকে আসা’মি করে অপর একটি মা’মলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মা’মলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।এদিকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পর আনন্দ উল্লাস ও মহিষ মেরে বনভোজন করা প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওহাব বলেন, প্রতিপক্ষ আহত হওয়ার আনন্দে কোনও বনভোজনের আয়োজন করা হয়নি। এটি আমার সমর্থকদের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান ছিল। সেটাই করা হয়েছে।স্থানীয়দের মতে, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে এমন সংঘ’র্ষ ঠিক হয়নি। তারপর ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা নেতা ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আনন্দ উল্লাস ও বনভোজন করা কোনও মতে শোভনীয় নয়। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com