জটমুক্ত চুল পেতে যা করবেন
শ্যাম্পু করার সময় চুল মনে হয় সিল্কি আর কোমল। কিন্তু শুকিয়ে গেলে ফুলে ওঠে, দেখতেও রুক্ষ লাগে। আর জট তো বাঁধেই। চুল আঁচড়াতে গিয়ে চিরুনি আর চুলে টানাটানি, ফলস্বরূপ চিরুনে ভরে যায় চুলে! বাড়ির যত্রতত্র চুল ছড়িয়ে থাকে, যা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। চুলে জট পড়া দূর করে চুল সুন্দর রাখার কিছু উপায় জেনে নিন-
চুলে কখন জট পড়ে?
দীর্ঘদিন ধরে হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ব্লিচ বা নিয়মিত হেয়ার স্প্রের ব্যবহার, চুলে রং করা ইত্যাদি হলো চুলে জট পড়ার উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তেল ও যত্নের অভাবেও চুল নিষ্প্রাণ হতে পারে। অনেকে গোসলের সময় মাথায়ও গরম পানি ঢালেন, যা একদমই ঠিক নয়। এছাড়া আবহাওয়া ও দূষণের কারণে চুলে চিটচিটে ভাব তৈরি হয়, সেখান থেকে জট পাকিয়ে যায়।
জট দূর করার উপায়
* আমন্ড অয়েল ও ডিমের ব্যবহারে চুল কোমল ও প্রাণবন্ত হতে পারে। এই দুটি উপাদান দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তা চুলে লাগিয়ে চল্লিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
* চুল জটমুক্ত রাখতে নারিকেল তেল ও ভিটামিন ই মিশিয়ে মাসাজ করুন মিনিট পনেরো। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।
* পাকা কলা চটকে নিন। এরপর এর সঙ্গে মধু ও নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। এরপর চুল ধুয়ে নিন ভালো করে।
* নারিকেলের দুধ হালকা আঁচে গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এটিও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
* অ্যালোভেরা জেল চুলের যত্নে ভালো কাজ করে। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারিকেল তেল, অলিভ বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।
* তিন চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধুর মিশ্রণ নিয়মিত হেয়ারপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন। চুল থাকবে জটমুক্ত।
* শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুল মসৃণ ও পেলব করে, জটও প্রতিরোধ করে।
* চুল ধোয়ার পরে তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল নরম থাকে, আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কার থাকে। চুল শুকিয়ে আঁচড়ান।
* জট ছাড়ানোর নিয়ম হলো চুলের নিচের দিক থেকে আঁচড়ানো শুরু করা। এতে চুল ছিড়বে না। বড় দাঁতের কাঠের চিরুনির সাহায্যে জট ছাড়ান।