যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নামে সড়ক উদ্বোধন
জেটিভি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি বহুল নগরী হিসেবে পরিচিত নিউজার্সির প্যাটারসনে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ নামে একটি সড়কের যাত্রা শুরু হলো। গতকাল শনিবার সড়কটির উদ্বোধন করা হয়। নিউজার্সিতে ‘জালালাবাদ স্ট্রিট’ নামে আরেকটি সড়ক রয়েছে। এ ছাড়া নগর কর্তৃপক্ষের আর্থিক সহায়তায় সেখানে নির্মিত হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার।
এক সময় শিল্প কারখানায় এগিয়ে থাকা এ নগরীতে বাংলাদেশিদের আগমন ঘটেছে অনেক আগেই। মূলত সিলেট অঞ্চল থেকে আসা প্রবাসীরা তাদের পূর্বসূরিদের পদচিহ্ন ধরে এ নগরীতে তাদের চাঞ্চল্য শুরু করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ নামে সড়ক হলো প্যাটারসন নগরীতে।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার দিকে ওয়েন এভিনিউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ ফলক লাগিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কটির উদ্বোধন করা হয়। প্যাটারসনের নির্বাচিত সিটি কাউন্সিলম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহীন খালিকসহ ওই অনুষ্ঠানে নগর কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে সড়কটির উদ্বোধনের আগে শাহিন খালিকের নেতৃত্বে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, নিউজার্সির অ্যাসেম্বলী উইমেন শাভোন্দা সাম্পটার, প্যাসিস কাউন্টির শরিফ রিচার্ড ব্রেডনেক বক্তব্য রাখেন। এরপর র্যালি বের করা হয়। ব্যানার হাতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা র্যালিতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ ওয়ের নামকরণের প্রধান উদ্যোক্তা শাহিন খালিক জানান, চলতি বছরের ২৬ মার্চ প্যাটারসন সিটি হলে তার প্রস্তাবনায় স্থানীয় ‘ইউনিয়ন এভিনিউয়ের একাংশের নামকরণ বাংলাদেশের নামে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ সড়ক প্রবর্তনের প্রস্তাবটি বিল আকারে পাস হয়।
‘বাংলাদেশ বুলেবার্ড’ ওয়ের উদ্বোধনের দিনটিকে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করে শাহীন খালিক বলেন, নিউজার্সির প্যাটারসনে স্কুলগুলোতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য হালাল খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা এবং ইসলাম শিক্ষা ক্লাসের ব্যবস্থা করাসহ স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির কল্যাণে নেয়া তার নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমী ছাড়াও জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী রিজিয়া পারভীন এবং বাউল শিল্পী কালা মিয়াসহ আরও অনেকেই অংশ নেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি গর্বের দিন।