লকডাউনে মোবাইল বেশি ব্যবহারে যে ক্ষতি হয়
করোনাভাইরাসের আক্রমণে গৃহবন্দি হয়ে আছেন অনেকেই। বসে বসে সময় যেন কাটছে না। ভাগ্যিস, হাতে আছে স্মার্টফোন। আর ঠেকায় কে? সারাদিন, সারাক্ষণ চলছে ফোনালাপ, ফেসবুকিং বা ইউটিউব দেখা। কিন্তু তা যে মোটেই ঠিক নয়, ভেবেছেন কখনো? না ভাবলে এখনই জেনে নিন বেশিক্ষণ মোবাইল ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
সমস্যা সমূহ: অতিরিক্ত সময় মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহার করলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে-
১. বেশিক্ষণ মোবাইলে কথা বললে ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথার সম্ভাবনা বাড়ে।
২. মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার আশঙ্কা রয়েছে।
৩. অনবরত মেসেজ বা লেখালেখি করলে হাতের কব্জি ও আঙুলে ব্যথা হতে পারে।
৪. যারা দু’ঘণ্টার বেশি মোবাইলে টেক্সট করেন; তাদের আঙুল ও কব্জির সমস্যা দেখা যায়।
৫. অনবরত টেক্সটের কারণে আঙুলের কাছাকাছি থাকা স্নায়ুর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
৬. অতিরিক্ত লেখার ফলে শুরুর দিকে আঙুল অসাড় লাগে, পরে ব্যথা হয়।
৭. কনুইয়ে ভর দিয়ে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে হাত, কাঁধ, ঘাড় ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।
৮. অন্ধকারে মোবাইলের নীল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে অনিদ্রার ঝুঁকি বাড়ে।
৯. একইভাবে চোখের পানি শুকিয়ে গিয়ে চোখের সংক্রমণ হয়, চোখ কড়কড় করে।
১০. অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে হাড়ের আলনা নার্ভ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১১. এ অভ্যাস থেকে বের হয়ে না এলে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কম নয়।
সমাধান: এসব সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় ফোনের ব্যবহার কমানো। সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। যেমন-
• যতটা সম্ভব ফোন স্পিকারে দিয়ে কথা বলুন।
• সব আঙুল পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করুন।
• টানা ব্যবহারের ফাঁকে হাত ও আঙুল স্ট্রেচিং করার অভ্যাস বজায় রাখুন।
• শিশুর হাতে বেশি সময়ের জন্য মোবাইল দেবেন না।