আগে নিয়মিত নামাজ পড়া হতো না; নামাজ পড়ি
ড. আসিফ নজরুল। একইসঙ্গে লেখক, অধ্যাপক এবং রাজনীতির বিশ্লেষক। সাংবাদিকতাও করেছেন। সৃজনশীল লেখালেখিতে একসময় ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন। কলামিস্ট ও টেলিভিশন টকশোর আলোচক হিসেবেও খ্যাতি আছে তার।
মহামারী কোভিড ১৯ এর কারণে একমাস ধরেই হোম কোয়ারেন্টিনে পরিবারের সঙ্গে আছেন। করোনার এই লকডাউনের দিনে চার সন্তানের সঙ্গে খেলাধুলা করেই তার অধিকাংশ সময় কাটে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের চার সন্তান। বাচ্চাদেরকে ঘরে রাখার জন্য ওদের সঙ্গে প্রচুর খেলাধুলা করতে হয়। মানবজমিন
ওদের প্রচুর সময় দেই। এবং এটা করতে গিয়ে ছোট বেলার খেলাধুলায় ফিরে গিয়েছি। ছোট বেলার খেলাধুলা আমাকে বড় বয়সে করতে হচ্ছে। ছোটবেলায় টিলো এক্সপ্রেস, চোর-পুলিশ, এগুলো এখন ওদের (বাচ্চা) সঙ্গে খেলতে হচ্ছে। আমাদের বাসার সামনে মাঠ থাকায় সারাক্ষণ ওরা বাইরে খেলতো। তাই এখন ওদের সঙ্গে খেলতে খেলতে অনেক সময় চলে যায়।
এছাড়া অনেক নিউজ দেখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তে খবরের কাগজ আসা আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সবসময় অনলাইনে খবর দেখি। আগে নিয়মিত নামাজ পড়া হতো না। নামাজ পড়ি। বই পড়ি।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ বইটি পড়া শেষ করেছি। মাঝে মাঝে রান্না-বান্না করি। আমার যে পিএইচডি থিসিসটি ছিলো সেটাতো বই করা হয়নি। ওটার কাজ একটু একটু করে করার চেষ্টা করি। আর অধিকাংশ সময় খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে বসে থাকি। করোনায় কোথায় কি হচ্ছে এ সংক্রান্ত খবর পড়ে খুব দু:শ্চিন্তা হয়। অনেক দু:শ্চিন্তা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকি অনেক সময়। এভাবেই সময় কাটে। আর অপেক্ষা করছি কখন আমরা লকডাউন থেকে বের হতে পারবো।