যে বদ অভ্যাসগুলো আসলে উপকারী!
আমাদের প্রত্যেকেরই এমনকিছু অভ্যাস রয়েছে, যা বাকি সবার কাছে ‘বদ অভ্যাস’ নামে পরিচিত। কেউ হয়তো দুশ্চিন্তায় পড়লে নখ খাওয়া শুরু করেন, কেউ হঠাৎ হঠাৎ আঙুল ফোটান, কেউ খাওয়া-দাওয়া শেষে অন্যের সামনেই তোলেন বিশাল এক ঢেঁকুর। আর রুচিশীল সমাজ এগুলোকেই বদ অভ্যাস বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এমনকিছু বদ অভ্যাস রয়েছে যা আসলে আমাদের জন্য উপকারই বয়ে আনে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
নখ খেলে ক্ষতি, উপকারও হয়!
আমাদের শরীর প্রতি সেকেন্ডে ক্ষতিকর জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়াগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যখন বিফল হয়, তখনই দেখা দেয় নানা রোগ-ব্যাধি। আমাদের শরীরের যে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবাণুদের মেরে ফেলতে সক্ষম হয়। নখ খাওয়ার সময় তাতে থাকা নানা ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই ব্যাকটেরিয়াগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কাজে লেগে যায়। বিশেষ করে ডব্লিউবিসি-এর উৎপাদন নাকি এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে, সেসব জীবাণুর কারণে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার কোনো ভয় থাকে না। শুধু তাই নয়, ওই ধরনের আর কোনো ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকলে সেগুলোকেও মেরে ফেলে। অর্থাৎ এমন চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে শরীর নতুন-নতুন ব্যাকটেরিয়াগুলোকে চিনে ফেলার সুযোগ পায়। তাতে করে দেহের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
ঢেঁকুর তুললে যে উপকার হয়
পেট ভরে খাবেন আর ঢেঁকুর তুলবেন না, তা আবার হয় নাকি! কিন্তু সবার সামনে ঢেঁকুর না তোলাই ভালো। ঢেঁকুর আসলে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কারণ ঢেঁকুর তোলার সময় পাকস্থলীতে জমে থাকা গ্যাস বেরিয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পরপর কোনো ধরনের অস্বস্তি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। তাই তো বিশেষজ্ঞরা ঢেঁকুর চেপে রাখতে নিষেধ করেন। তবে বারবার ঢেঁকুর উঠতেই থাকলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বায়ুত্যাগও সমান উপকারী!
মানুষের সামনে ঢেঁকুর তুললে সেই অপরাধ থেকে নিষ্কৃতি সম্ভব, তাই বলে বায়ুত্যাগ? কোনোভাবে যদি করেই ফেলেন তারপর লজ্জায় পড়ে যাবেন নিশ্চিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের কোনো চাপ এলেই তা বের করে দেয়া উচিত। কারণ এতেই মিলবে উপকার। আমাদের শরীর দিনে অন্তত তের-চৌদ্দবার গ্যাস বের করে দেয়। আমাদের শরীরে তৈরি হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইও ও মিথাইন গ্যাস বের হতে না পারলে পেটে ব্যথার সৃষ্টি করে। এমন কি পেট ফুলে যাওয়া বা পেটের ভেতর গুড়গুড় হওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই বায়ুত্যাগের দরকার হলে চেপে রাখবেন না যেন। শুধু খেয়াল রাখুন তা যেন অন্যের সামনে না হয়।
চুইংগাম খেলে উপকার মেলে
চুইংগাম খেলে দাঁত নষ্ট হয়, এমন কথা কে না শুনেছেন! কিন্ত বিভিন্নরকম গবেষণা বলছে অন্য কথা। সুগার ফ্রি চুইংগাম খেলে দাঁতের তো কোনো ক্ষতি হয়ই না, বরং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, স্ট্রেস কমে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হয়।