যেভাবে নিজেরাই তৈরি করবেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম কোনভাবেই এত বেশি হতে পারে না
আসুন আমরা নিজেরাই এটা তৈরি করি
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক
পরিচালক
বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম কোনভাবেই এত বেশি হতে পারে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে মানুষ আজ একান্ত অসহায়। আসুন আমরা নিজেরাই এটা তৈরি করি। এজন্য সবচেয়ে সহজ একটি ফর্মুলা দেয়া হলো। এর সবগুলো উপাদান হাটখোলা বা মিটফোর্ডের কেমিক্যালের দোকান থেকে কেনা যাবে।
১) আইসোপ্রপাইল এলকোহল (এটা না পাওয়া গেলে ইথানল বা ইথাইল এলকোহল) – ৭৫ মিলি।
২) গ্লিসারিন বা গ্লিসারল – ১৫ মিলি।
৩) সাইট্রাল (কিংবা লেমন অয়েল বা
ইউক্যালিপটাস বা ক্লোভ বা সিনামন বা কারডামম অয়েল) – ৫ ফোঁটা।
৪) পানি – ১০ মিলি।
এগুলো মেশালে মোট ১০০ মিলি হবে। মুখ সহজে বন্ধ করা যায় এমন প্লাস্টিকের বা কাঁচের (কাঁচ সহজে ভেঙ্গে যেতে পারে বলে প্লাস্টিকই ভালো) শিশিতে ভরে দিতে হবে।
কাউকে একটা শিশির বেশি দেয়া যাবে না। অনেককে যাতে এই শিশি দেয়া যায় তার জন্য বিনামূল্যের পরিবর্তে প্রতি শিশি তৈরিতে কাঁচামালের দাম হিসেবে ২০ বা ২৫ টাকা দাম নেয়া যেতে পারে।
প্রতি শিশিতে একটা লেবেল থাকবে যেখানে (১) প্রতিবার হাত পরিস্কারের জন্য এই তরলটি আধা-চাচামচের বেশি প্রয়োজন নেই তা বলে দিতে হবে, (২) এই তরল হাতে নিয়ে হাত-আঙ্গুল-নখ ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে ঘষতে হবে এবং (৩) এই তরল যেন কোনভাবেই মুখে না যায় — এসব তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
লেবেলে উৎপাদনকারী সংগঠনের নাম-ঠিকানা ও ‘জনস্বার্থে’ উৎপাদিত তা উল্লেখ করতে হবে।
যেহেতু এখানে মূল উপাদান এলকোহল তাই উৎপাদন এলাকায় কোন আগুনের শিখা বা ফুলকি বা ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
করোনাভাইরাস আর অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, আমরা সবাই একসাথে।