লিভার নষ্টের ৭ লক্ষণ
আমাদের দেহের সব অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। এসবের মধ্যেও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো যকৃৎ বা লিভার। আমাদের পরিপাক ক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে এই অঙ্গ। শরীরের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা লিভারের কাজ। কিন্তু যদি লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়, নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি।
এখন কী করে বুঝবেন আপনার যকৃত ঠিক মতো কাজ করছে কিনা বা কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা? এসব উপায় আছে। কিছু লক্ষণ আপনার শরীরেই ফুটে উঠবে যা দেখে আপনি বুঝে নিতে পারবেন আপনার যকৃৎ বা লিভার অসুস্থ কিনা! আসলে একটু সতর্ক থাকলেই আপনি আপনার আসন্ন অনেক রোগ সম্পর্কে জানতে পারেন। বলা হয়ে থাকে, প্রতিটি রোগই কোনো না কোনোভাবে সতর্ক করে দিয়ে তবে আঘাত হানে। যারা সচেতন, তারা সত্যিই আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করে ওই রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন, কিংবা অন্তত প্রকোপ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পারেন।
নিচে সাতটি লক্ষণের কথা বলা হলো। এগুলোর কোনো একটি হলেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, তথা চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
১) যদি হঠাৎ করেই খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা তৈরি হয়, যদি দেখেন খাবার খেতে ইচ্ছেই করছে না, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করবেন না। কারণ, এটি যকৃতের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অবিলম্বে চিকিৎকের কাছে যান।
২) পাঁজরের একটু নিচে, পেটের ডান দিকে ব্যথা হলে সাবধান। এটি যকৃতের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বিষয়টিকে অবহেলা করবেন না।
৩) কিছু খেলেই বমি পাচ্ছে? সারাক্ষণ বমি বমি ভাব? এটি যকৃৎ বা লিভারের সমস্যার কারণে হতে পারে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়েছে কিনা, চিকিৎকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করিয়ে দেখুন।
৪) মল ও মূত্রের রং যদি হঠাৎ করে পাল্টাতে থাকে, তাহলে এখনই সাবধান হওয়া উচিত। আপনার যকৃতে কোনও সমস্যা হচ্ছে। হজমেরও সমস্যা হচ্ছে। অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিত্সকের কাছে যান।
৫) যদি আচমকা আপনার চোখের সাদা অংশের রং, গায়ের চামড়া হলুদ হতে শুরু করেছে, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করবেন না। কারণ, এটি জন্ডিসের লক্ষণ। অবিলম্বে চিকিত্সকের কাছে যান।
৬) হঠাৎ করেই যদি আপনার গায়ের চামড়া কোনো জায়গায় খুব শুষ্ক হয়ে যায়, খোসা খোসা উঠতে থাকে, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করবেন না। এটি যকৃতের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৭) যদি আপনার পেটের নিচের অংশ অস্বাভাবিক রকম ফুলে ওঠে এবং দীর্ঘদিন একই অবস্থা থাকে তাহলে সাবধান! এটি যকৃতে পানি জমার লক্ষণ হতে পারে। একে লিভার সিরোসিস বলা হয়।