হাজার হাজার কোটি টাকার মালিকদের নিয়ে মন্ত্রিসভা সাজাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভা সাজাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যারা জায়গা পাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই হাজার কোটি টাকার মালিক। এর মধ্যে আছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীর মতো ব্যক্তিরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্প যাদের মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন, তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৪০ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবার সবচেয়ে ধনী মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকজনকে নেবেন। এতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার অন্তত ১১ জনের নিজস্ব বা স্বামী-স্ত্রীর অথবা খুব কাছের ব্যক্তির এক বিলিয়ন ডলার করে আছে।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি এখন সরকার চালানোর জন্য এমন ব্যক্তিদের নিচ্ছেন, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের অনেক তফাত। এই ব্যক্তিরাই সরকারের এমন কিছু খরচ কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন, যেগুলোর সুবিধা পেয়ে থাকেন গরিব ও সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণির মানুষ।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে ট্রাম্প অসংখ্যবার বলেছেন, বাইডেন সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। অথচ তিনি এবার যাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা তৈরি করেছেন, তাদের সবারই হাজার হাজার কোটি টাকা আছে।
গত ২৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে তিনি যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন সেটিও মার্কিন সরকারের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী মন্ত্রিসভা ছিল। এবার তিনি সেটিকেও পেছনে ফেললেন। পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সরকার দেশটির সাধারণ মানুষের জন্য কতটা উপকারে আসবে সেটি সময় বলে দেবে।
ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে চীন বলেছে, যদি এমন কিছু হয় তাহলে এটি দুই দেশের কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। তবে ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী চলা যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।