ইমরানের মুক্তি চেয়ে বাইডেনের কাছে ৪৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটক করা এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন কংগ্রেসের ৪৬ জন সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে আরেকটি চিঠি লিখেছেন। এর আগে গত অক্টোবরে আরো ৬০ সদস্য বাইডেনকে চিঠি লিখে এই আহ্বান জানান।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
চিঠিতে পাকিস্তানকে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং মার্কিন সরকারের কাছ থেকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসে আইন প্রণেতারা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের কারচুপির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এছাড়া নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনি জালিয়াতি, অনিয়ম এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পিটিআইকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগে তুলেছে।
চিঠিতে কংগ্রেস সদস্যরা জনসাধারণের স্বাধীনতা, বিশেষ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে। নির্বিচার গ্রেফতার, অবৈধ আটক এবং সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারে ইন্টারেনট নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধিনিষেধ উল্লেখ করেছে।
ইমরান খানকে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসাবে বর্ণনা করে বেআইনিভাবে আটকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ইয়াসমিন রশিদ এবং শাহ মেহমুদ কুরেশিসহ অন্যান্য সিনিয়র পিটিআই নেতারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক রয়েছেন।
কংগ্রেসের সদস্যরা ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের নীতি পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, পাকিস্তান-আমেরিকান সম্প্রদায়ের উদ্বেগ দূতাবাসের অবস্থানে প্রতিফলিত হচ্ছে না। তারা পাকিস্তানে নতুন সরকার সম্পর্কে দূতাবাসের দ্রুত ইতিবাচক বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন।
কংগ্রেস সদস্যরা জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনকে অবিলম্বে নোটিশ নেওয়ার এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়ে তার নীতি বাস্তবায়নে পাকিস্তানের ওপর চাপপ্রয়োগ করতে হবে।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়।
বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে অবস্থান করছেন।