অসুস্থতায় রোজা কাজা হলে ফিদিয়া দিতে হবে কি?

0

কারো ওপর যদি ফরজ বা ওয়াজিব আমলের কাজা ওয়াজিব থাকে এবং সে ওই আমল করতে পুরোপুরি অপারগ হয়ে পড়ে, ভবিষ্যতে কাজা করতে পারবে সেরকম সম্ভাবনাও না থাকে, তাহলে ওই আমলের বদলে দরিদ্রদের সদকা করাকে ফিদয়া বলা হয়। কোরআনে অক্ষম ব্যক্তিদের রোজার ফিদয়া আদায়ের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন,

اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ وَعَلَی الَّذِیۡنَ یُطِیۡقُوۡنَهٗ فِدۡیَۃٌ طَعَامُ مِسۡکِیۡنٍ فَمَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا فَهُوَ خَیۡرٌ لَّهٗ وَ اَنۡ تَصُوۡمُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ

(রোজা) নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান। (সুরা বাকারা: ১৮৪)

তবে জীবনের অন্তিম অসুস্থতায় রমজানের রোজা কাজা হলে অর্থাৎ যে অসুস্থতায় রোজা কাজা হয়েছে, ওই অসুস্থতার মাঝেই যদি কেউ মারা যায়, কাজা আদায়ের সুযোগ না পায়, তাহলে তার ছুটে যাওয়া রোজার ফিদিয়া দিতে হবে না। কারণ কাজা আদায়ের সুযোগ না পেলে কাজা ওয়াজিবই হয় না।

সাঈদ ইবনে জুবাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি রমজানে অসুস্থ হয় (যার কারণে রোযা রাখতে পারেনি) এবং ওই অসুস্থতার মধ্যেই মারা যায়, তাহলে তার ওপর কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৭৬৩০)

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com