চিকিৎসকদের কথায়, হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

0

ওজন কমাতে কতজনই না কত ধরনের ডায়েট অনুসরণ করেন। তবে কোন ডায়েট আপনার শরীরের জন্য প্রযোজ্য তা জেনে তবেই তা অনুসরণ করা উচিত। না হলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে, এমনকি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গেরও ক্ষতি হতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের ডায়েটের মধ্যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অন্যতম। এক্ষেত্রে দিনের একটি বড় অংশ না খেয়ে থাকতে হয়। এই ডায়েট অনুসরণ করে অনেকেই হয়তো ওজন কমাতে সক্ষম হন, তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নাকি বিপদ ডেকে আনতে পারে।

শরীর দুর্বল করে দেওয়া ছাড়াও, আরও রোগের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণা দেখা গেল তেমনটাই। চিকিৎসকদের কথায়, হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে ওজন কমে?
গবেষকদের একাংশ বলছে, এই পদ্ধতি কার্যকর। অর্থাৎ এই ধরনের উপোস করলে ওজন সত্যিই কমে। কীভাবে কমে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গবেষকরা। ফাস্টিংয়ের সময় আমাদের শরীরের অ্যানার্জি প্রয়োজন হয়। এদিকে আমাদের ফ্যাটে অনেকটা শক্তি সঞ্চিত থাকে।

সেই শক্তিই না খেয়ে থাকার সময় শরীর ব্যবহার করে। এর ফলে ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। অর্থাৎ ওজন কমতে শুরু করে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এভাবেই ওজন কমাতে সাহায্য করে। সারাদিনে খুব কম খেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই ডায়েট করতে হয়।

একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিনের সব খাওয়াদাওয়া করে ফেলতে হবে। এটিই ইন্টারমিটেন্টে ফাস্টিং। জনপ্রিয় নিয়মটি হলো দিনের আট ঘণ্টার মধ্য়ে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার খেয়ে ফেলতে হবে। এরপর বাকি ১৬ ঘণ্টা আর কোনো খাবার খাওয়া যাবে না।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হার্টের জন্য বিপজ্জনক। দিনে আট ঘণ্টার মধ্য়ে সব খাবার খেয়ে ফেললে হার্টের রোগের ঝুঁকি ৯১ শতাংশ বেড়ে যায়। ২০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়।

তাদের প্রতিদিনের খাবার খাওয়ার ধরন বা প্যাটার্ন পরখ করে দেখা হয়। এই খাবারের ধরন থেকেই দেখা গেছে, ৯১ শতাংশ মানুষের মধ্য়েই হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। আর তার বড় কারণ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।

আগে থেকে হার্টের রোগ থাকলে?
আগে থেকে অনেকের হার্টের রোগ থাকে। তাদের ক্ষেত্রে হার্টের রোগের ঝুঁকি ৬৬ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকিও আছে বলে জানান গবেষকরা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেথ ফ্রেন বলেন, ‘ক্যালোরি ইনটেক কমাতে অনেকেই এই ডায়েট অনুসরণ করেন। তাতে বিপদ বাড়ছে বলেই দেখা গেল গবেষণায়। তবে এখনও এই নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা বাকি আছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’

সূত্র: এবিপি লাইফ/ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com