ফরিদপুরে অবস্থান কর্মসূচিতে সরকারি দলের হামলার পর বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক

0

ফরিদপুরে অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার পর বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে  আটক করেছে পুলিশ। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার পর পুলিশ তাদের মঙ্গে যুক্ত হয়ে টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ করে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শহরের অম্বিকা ময়দানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণঅবস্থানে যোগ দেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় জেলার নেতা-কর্মীরা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি স্থলের উত্তর দিক হতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক মানুষ আহত হন।

পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচিস্থল হতে সরে যান। পরে শহরের ঝিলটুলীতে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক টুলুর বাসবভনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান অভিযোগ করেছেন, ফরিদপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হেলমেট বাহিনীর হামলার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ শুরু করে। শত শত টিয়ারশেল আমাদের মঞ্চে আসা শুরু করে। আমি বাধ্য হয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করতে বাধ্য হই। যদি আমরা মঞ্চ ত্যাগ না করতাম তাহলে হয়তো শত শত গুলি আমাদের নেতা-কর্মীদের শরীরে লাগতো। আমরা নিহত হয়ে যেতে পারতাম।

তিনি বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকানণ্ডকে আমরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করি। আমরা সরকারি দলের এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ফরিদপুরবাসীকে আহ্বান জানাই, আসুন আমরা এই সরকারের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।

বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, জেলা ও মহানগর বিএনপি গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য শহরের কাঠপট্টিতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চেয়েছিলো। সেখানে অনুমতি না দিয়ে প্রশাসন আমাদের অম্বিকা ময়দানে অনুমতি দেয়। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, তাহলে কি প্রশাসন জানতেন আমাদের মিটিংয়ে হামলা হবে। নাহলে তারা কেনো আমাদের অম্বিকা ময়দানে অনুমতি দেওয়া হলো।

শামা ওবায়েদ ঢাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের কর্মসূচির উদাহরণ টেনে বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম রাস্তার একপাশে আমরা চলাচলের জায়গা রেখেই কর্মসূচি পালন করবো। তিনি কর্মসূচিতে আসার সময় মাদারিপুরের খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে, রাজবাড়ীর ওমর খৈয়মের নেতৃত্বে আসা মিছিলে হামলাসহ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করেন। ছোট ছোট হামলা করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এ হামলায় কতজন আহত হয়েছেন তা ঠিকভাবে জানা না গেলেও বিএনপি দাবি করেছে তাদের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসিরুদ্দিন কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহমেদ আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com