আল্লাহ যেভাবে শিরককারীকে বর্জন করেন

0

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মহামহিম রব থেকে বর্ণনা করেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি এমন কাজ থেকে মুক্ত যাতে রিয়া বা অন্য কিছুর মাধ্যমে কারো অংশগ্রহণ প্রবেশ করেছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা যা খালেস তার সন্তুষ্টির জন্য হয়; তা ছাড়া (কোনো আমল) কবুল করেন না। হাদিসের ভাষায় তা সুস্পষ্ট। কেননা তিনি শিরককারীদের বর্জন করেন মর্তে হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ বলেন-

أنا أغنى الشركاء عن الشرك؛ من عمل عملا أشرك معي فيه غيري تركتُه وشِرْكَه 

‘আমি সমস্ত অংশীদারদের অংশীদারি [শিরক] থেকে মুক্ত। যদি কেউ এমন আমল করে যাতে সে আমার সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করেছে, তাহলে আমি তাকে ও তার শিরককে বর্জন করি।’ (মুসলিম)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মহামহিম রব থেকে বর্ণনা করেন। এ হাদিসটি হাদিসে কুদসি। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) এমন কাজ থেকে মুক্ত যাতে রিয়া বা অন্য কিছুর মাধ্যমে কারো অংশগ্রহণ প্রবেশ করেছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা যা খালেস তার সন্তুষ্টির জন্য হয় তা ছাড়া (কোনো আমল) কবুল করেন না।

হাদিসের শিক্ষা

১. শিরকের সব ধরনের প্রকার থেকে বেঁচে থাকা। এটি আমল কবুল হওয়ার প্রতিবন্ধক।

২. শিরকের যাবতীয় উপকরণ থেকে বিরত থেকে একমাত্র আল্লাহর জন্য আমল করা ওয়াজিব।

৩. মহান আল্লাহকে কালাম (কোরআন) দ্বারা গুণান্বিত করা।

৪. আল্লাহর জন্য অমুখাপেক্ষী হওয়ার গুণকে সাব্যস্ত করা।

৫. আল্লাহ কেবল সে আমলই কবুল করেন যা কেবল তার জন্য করা হয়।

৬. আল্লাহর জন্য অনুগ্রহের গুণকে সাব্যস্ত করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত আমল করার তাওফিক দান করুন। সব ধরনের শিরক থেকে সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com