‘স্ত্রীকে পদ্মা সেতুর টোলের হিসাব শিখিয়েছিলাম, নির্যাতন করিনি’

0

পদ্মা সেতুর টোলের হিসাব না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আলমগীর তালুকদার বলেছেন, তিলকে তাল করে কাবিননামার টাকা আদায় করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ সাজানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। আমি স্ত্রীকে পদ্মা সেতুর টোলের হিসাব শিখিয়েছিলাম, নির্যাতন করিনি।

স্কেলের মতো বাঁশের একটি কাঠি দিয়ে হাতে দুই-একটা বাড়ি মেরেছিলাম গুণ না পারায়। অপমানে এখন আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে  এসব কথা বলেন রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের উত্তর গশ্চির মো. আলমগীর তালুকদার।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের হিসাব দেখে কৌতূহলবশত আমার স্ত্রী তাওহিদুন্নেসাকে (২৫) এক মাসে কত টোল আদায় হবে হিসাব করতে বলি। এ সময় আমি ৩০ কে ৩০ দিয়ে গুণ করার সহজ পদ্ধতিও শিখিয়েছিলাম। মাদ্রাসা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পরও গুণ অংক না পারায় হাতে দুই-একটা আঘাত করেছিলাম বাঁশের কাঠি দিয়ে। এরপর তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘর থেকে চলে যায়। এর তিন দিন পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজানোর জন্য মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয় স্ত্রীকে। আরও পরে শুনি থানায় যোগাযোগ করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এটি আমার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে।

ইতিমধ্যে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কথামতো আমার আড়াই বছরের ছেলে ওমর ফারুককে দেখতে গেলে আমাকে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমি সোমবার (৪ জুলাই) বাকলিয়া থানায় জিডি করেছি।

মো. আলমগীর তালুকদারের শ্বশুর মোস্তাক আহমেদ বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য আমার মেয়েকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা তাকে মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছি। এখন সে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীতে রয়েছে। সুস্থ হলে আমরা মামলা করবো।

মোস্তাক আহমদ জানান, এর আগেও প্রবাসী মো. আলমগীর তালুকদার একাধিক বিয়ে করেছেন। তারাও সংসার করতে পারেনি নির্যাতনের কারণে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, পদ্মা সেতুর টোলের হিসাব না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com