চাঁদা দাবির আভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, লেগুনা ভাঙচুর
প্রতি মাসে দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় নীলক্ষেত রুটে চলাচলকারী চারটি লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এফ. রহমান হল শাখার কর্মীদের বিরুদ্ধে।
স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুনের নির্দেশে তাদের অনুসারীরা গতকাল শুক্রবার (১জুলাই) সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন নীলক্ষেত লেগুনা সমিতি কর্তৃপক্ষ।
নীলক্ষেত মোড় হয়ে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন রুটে ৬০-৭০টি লেগুনা চলাচল করে। ফের হামলার আশঙ্কায় আজ সবকটি রুটেই বন্ধ রয়েছে লেগুনা চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন এসব রুটে প্রতিদিন চলাচল করা সাধারণ যাত্রীরা।
লেগুনা সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে লেগুনা মালিক সমিতির নেতাদের ডাকেন স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। এফ রহমান হলের সামনে চায়ের দোকানে হওয়া সেই বৈঠকে তারা সমিতির নেতাদের কাছে ‘হাতখরচ’ হিসেবে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে তাদের ২ দফা বৈঠক হয়। কিন্তু মালিক সমিতির ছাত্রলীগের এই অযৌক্তিক দাবি মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় হামলা-ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লেগুনা মালিক রফিক। নীলক্ষেত থেকে চকবাজার রোডে তার দুটি লেগুনা রয়েছ। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে বসার পর হল ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন নতুন কমিটি পাইছি। আমাদের কিছু হাত খরচ দিয়েন। এরপর আমাদের একজন বলেন, কত দিতে হবে ভেঙে বলেন।
তখন রিয়াজ ভাই বলেন, দেড় লাখ টাকা দিয়েন। এই কথা শুনে আমাদের সবাই উঠে চলে আসছি। তাদের প্রোগ্রাম থাকায় তারাও চলে যায়। এই ঘটনার চার-পাঁচ দিন তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। তারাও কোনো ঝামেলা করেনি।
লেগুনা মালিক রফিক আরও বলেন, চার-পাঁচদিন পর এসে তারা গাড়ি ভাঙচুর এবং চালকদের মারধর করা শুরু করেন। স্ট্যান্ডে কোনো গাড়িই তারা রাখতে দেন না।
নীলক্ষেত স্ট্যান্ডের সুপারভাইজার মহসিন বলেন, গতকাল ১০-১২ জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে রাস্তায় থাকা লেগুনার উপর হামলা চালান। এতে চারটি লেগুনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার বিভিন্ন লেগুনার লুকিং গ্লাস ও সামনের গ্লাস ভাঙচুর করেন। এ পর্যন্ত মোট সাতটি লেগুনায় হামলা হয়েছে।