সালাম দিতে দেরি করায় ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর
অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কারণে সালাম দিতে দেরি হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের এক শিক্ষার্থীকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে একই হলের আরেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী মানিকুর রহমান ওরফে মানিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১১টার পর হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মানিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী সাজ্জাদুল হক নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। ঘটনার বিচার চেয়ে হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগীর বর্ণনা থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে অনলাইনে একটি টিউশনের ক্লাস নিচ্ছিলেন সাজ্জাদুল হক। এর মধ্যে মানিকুর রহমানসহ চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন ছাত্র কক্ষটিতে আসেন এবং সাজ্জাদুলকে ডাকেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের ঠিক করা অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক সিনিয়র শিক্ষার্থী দেখলে তাকে গিয়ে জুনিয়রদের সালাম দিতে হবে এবং করমর্দন (হ্যান্ডশেক) করতে হবে।
অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কারণে সাজ্জাদের সালাম দিতে দেরি হওয়ায় খেপে যান সিনিয়ররা। ওই ‘অপরাধে’ই তাকে মারা হয়। সাজ্জাদ বলেন, ‘ক্লাস চলার সময়ই মানিকুর আমাকে কলার ধরে টান দেন। একটু পরে ক্লাস শেষ করে খাটের সামনে যেতে না যেতেই মানিকুর আমার কান ও মুখে সজোরে থাপ্পড় দেন। তিনি আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। মানিকুর আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন এবং একপর্যায়ে জোরে লাথিও দেন।’