টঙ্গীতে মা-মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
গাজীপুরের টঙ্গীতে এক নারী ও তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে উত্তর আউচপাড়া খাঁপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার রাতে মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, কয়েক দফা চেষ্টায় স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হলে শনিবার রাতে নির্যাতিতা ওই নারী অভিযুক্ত শিক্ষক হাতেম খাঁ ওরফে হাতেম মাস্টার (৪৫), তার স্ত্রী বানু (৪২) ও শ্যালিকা কামরুন্নাহারকে (৩৮) নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদিনী জানান, স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে খাঁপাড়া এলাকার একটি বাসায় তিনি দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন। রাস্তায় চলাচলের পথে হাতেম মাস্টার প্রায়ই তাকে অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলতেন। একই এলাকায় থাকেন বিধায় ভয়ে তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। ঘটনার দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে হাতেম মাস্টার, বানু, কামরুন্নাহারসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন আকস্মিকভাবে তার ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা ও গালমন্দ করতে থাকেন। এতে তিনি প্রতিবাদ করলে বানু ও কামরুন্নাহার তাকে চুলের মুঠি ধরে মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকে এবং হাতেম মাস্টার গায়ের ওড়না টেনে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন।
তিনি জানান, ডাকচিৎকার শুনে পাশের কক্ষ থেকে তার কিশোরী মেয়ে এগিয়ে এলে হাতেম মাস্টার তাকেও শ্লীলতাহানি করে এবং বাদিনীর গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লার অফিসে দফায় দফায় সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শনিবার রাতে ওই ভুক্তভোগী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত হাতেম মাস্টার বলেন, আমি ওই নারী ও তার মেয়েকে মারধর করিনি এবং ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো।
গাজীপুর সিটি কপোরেশনের ৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘটনাটি শুনে উভয়পক্ষকে ডেকেছিলাম। পরে ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।