মুমিনের দোষ গোপন রাখার ফজিলত
ছোট্ট একটি আমল- ‘কারো কোনো দোষ দেখলে তা গোপন রাখা।’ দোষের কথাটি কাউকে না বলা। দোষ গোপন রাখার এ আমলটি মহান আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। অন্যের দোষ গোপন রাখা ওয়াজিব। যে কারণে দোষ গোপনকারী ব্যক্তি আল্লাহর কাছে পাবেন অনেক বড় প্রতিদান। কী প্রতিদান সেটি। এ সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই বা কী বলেছেন?
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন-
لا يَستُرُ عبدٌ عبدًا في الدنيا إلا سَتَره الله يوم القيامة
‘দুনিয়াতে যদি কোনো বান্দা অপর কোনো বান্দার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে তবে কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার দোষ-ত্রটি গোপন রাখবেন।’ (মুসলিম)
মানুষের জন্য কত বড় চমৎকার ঘোষণা ও পুরস্কার এটি। যখন কোনো মুসলিম তার অপর মুসলিম ভাইয়ের কোনো অপরাধ-অন্যায় দেখে, তবে তার ওপর ওয়াজিব হলো তা গোপন রাখা। অন্য মানুষের কাছে তা প্রচার না করা। কারণ কারো দোষ-ত্রুটি অন্য কারো কাছে বলে বেড়ানো একটি অশ্লীল কর্ম প্রচার করার অন্তর্ভুক্ত।
পক্ষান্তরে-
আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এই দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার কাজটি করবে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই কেয়ামতের দিন তাকে বিনিময় দান করবেন। তার দোষ-ত্রুটিগুলো গোপন করবেন এবং সব মানুষের সামনে তাকে অপমান করবেন না। মুমিন মুসলমানের জন্য এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কী হতে পারে!
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কারো কোনো দোষ-ত্রুটি দেখলেই তা গোপন রাখা। একজনের কাছ্যে অন্য জনের দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকা। তবেই হাদিসের ঘোষণায় আশা করা যায়, মহান আল্লাহ ওই বান্দার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। মানুষের সামনে অপমান থেকে মুক্তি দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে পরস্পরের দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ানো থেকে হেফাজত করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। পরকালে নিজেদের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ হওয়া এবং অপমনা হওয়া থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন। আমিন।