পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশ হেফাজতে নজির আহমেদ সাফু (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত নজির আহমেদ সাফু উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরাইল গ্রামের মোলাবাড়ির হাফেজ উবায়দুল্লাহর ছেলে ও জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছিরের ছোট ভাই।
এ বিষয়ে নজির আহমেদের বড় ভাই হোসাইন আহমেদ তফছির স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছোট ভাই নজির আহমেদ ঢাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমার দাদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড: আ ফ ম শহীদুল্লাহর কাছ থেকে সে আমাদের এলাকায় একটি বাড়ি কিনে। এরপর থেকেই স্থানীয় মেম্বার মোশাহেদ উল্লাহর যোগসাজসে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের সাথে আমার ভাইয়ের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে আমার ভাইকে ওই মহলটি বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকার প্রতিপক্ষ হেলাল মিয়ার ছেলে জুম্মান মিয়া (৩৫) আকস্মিকভাবে আমার ছোট ভাই নজির আহমেদের বাড়ির একটি কক্ষে ঢুকে ড্রয়ার খুলে কাগজ-পত্র তছনছ করে ফেলে। খবর পেয়ে নজির আহমেদ বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে তাকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় এলাকার লোকজন ও স্থানীয় মসজিদের মুসুল্লিরা তারাবি নামাজ শেষে ওই বাড়িতে এসে জড়ো হয়। এরই ফাঁকে সরাইল থানার এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাড়িতে এসে জুম্মান মিয়াসহ আমার ছোট ভাই নজির আহমেদকে থানায় নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, কিছুক্ষণ পর এলাকার দুইজন সালিশকারী নিয়ে আমি থানা গেইটে যাওয়ার পর শুনতে পাই আমার ভাইকে আহত অবস্থায় দুইজন পুলিশ সদস্য সরাইল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে আমি আমার ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাই। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানতে পারি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
নজির আহমেদের ভাই বলেন, পুরো ঘটনায় স্থানীয় মোশাহেদ উল্লাহ মেম্বার ও সরাইল থানা পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। একটি বড় কুচক্রী মহল আমার ভাইকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেব এবং সেই সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।