নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি

0

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। এ দাবি আদায়ে আন্দোলন গড়তে ‘সরকারবিরোধী জোট’ গঠনের চেষ্টা করছে দলটি। সিনিয়র নেতা, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নিয়ে ইতোমধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

সেখানে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করলে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা হবে-এমন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকার কেমন হবে, কারা থাকতে পারেন-এসব বিষয়ও আছে খসড়ায়।

এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। দাবি আদায়ে সব রাজনৈতিক দল ও গণতান্ত্রিক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলন করা হবে। সে লক্ষ্যেই বিএনপি কাজ করছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গত সোমবার লন্ডনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন চায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, কোনো জাতীয় সরকারের অধীনে নয়। সেই নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে সব গণতান্ত্রিক দল, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ সব পেশাজীবীকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে। যারা নির্বাচনে জিতবে, যারা জিতবে না কিন্তু গণতন্ত্র ও জনগণের পক্ষের প্ল্যাটফরমে এসে দাঁড়াবেন, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করে, এই অবৈধ সরকার দেশকে যে ঝঞ্জাল সৃষ্টি করেছে, তা যদি দূর করতে হয় নির্বাচনের পর দলমত নির্বিশেষে সবার সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা প্রয়োজন।

রিজভী আরও বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক দল আছে যাদের কেউ কেউ সুযোগ খুঁজছে। বর্তমান সরকার তাদের লোভ দেখাচ্ছেন-আমার সঙ্গে আসো, নির্বাচন করো, তোমাদের বিরোধী দলে দিব। আজ যারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা যতদিন বেছে থাকবেন আওয়ামী লীগের দালাল হয়ে বেছে থাকবেন। বিএনপির সঙ্গে কিছু কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কেউ কেউ বলছে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। তাদের মধ্যে অনেকে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। একাত্তর সালে যেভাবে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, আজ আবারও সময় এসেছে জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে আপনারা দাঁড়ান। রাজপথেই ফয়সালা হবে।

সূত্র জানায়, ‘বিরোধী জোট’ গঠন ও আন্দোলনের লক্ষ্যে দুমাস ধরে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আগামী ১২ এপ্রিল গুলশানের একটি হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টি আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তবে সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ওই ইফতারে আমন্ত্রণ জানাবে বিএনপি।

এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে একমঞ্চে আনতে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত কিছু হলে সময়মতো জানানো হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com