অসিয়ত অনুযায়ী সম্পদ বণ্টন করাই সর্বোত্তম কাজ
মিরাসের আয়াত নাজিলের আগে আল্লাহ তাআলা মৃত ব্যক্তিকে অসিয়ত করে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেন। কিন্তু মৃতব্যক্তির নির্দেশের পরও অনেকেই সে নির্দেশ পালনে সীমা লংঘন করে। আয়াতে বলা হচ্ছে- মৃত ব্যক্তি তো ন্যায়সঙ্গতভাবে অসিয়ত করেই মারা গিয়েছিল। কিন্তু আদায়কারীরা সে অসিয়ত রক্ষা করেনি। সুতরাং অসিয়ত লংঘনের অপরাধে মৃত ব্যক্তি অপরাধী নয় বরং যারা অসিয়ত আদায়কারী বা অসিয়ত আদায়ের নেতৃত্বদানকারী তারাই গোনাহগার হবে। এ প্রসেঙ্গ সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ তাআলা বলেন-
সুরা বাকারার ১৮১ আয়াতে অসিয়ত পালনে বৈষম্য সৃষ্টিকারীদের প্রতি নাজিল হয়েছে। যারা অসিয়ত অনুযায়ী সম্পদ বণ্টন করবে না; সেক্ষেত্রে অসিয়তকারী গোনাহগার হবে না বরং যারা বণ্টনের দায়িত্বে থাকবে বা যারা অসিয়ত অনুযায়ী ফয়সালা করবে না তারা গোনাহগার হবে।
আবার ১৮২নং আয়াতে বলা হয়েছে- মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তির যদি এ আশংকা থাকে যে, সে কোনো কারণে ভুল করেছে এবং কারো প্রতি অন্যায় পক্ষপাতিত্ব করেছে কিংবা সে জেনেশুনে মহান আল্লাহর আইনের খেলাফ কাউকে সম্পত্তি দিয়ে গেছে; তাহলে সে অসিয়তকৃত ব্যক্তি ও ওয়ারিশদের মাঝে এরূপ রদবদল করায় সম্মতি রয়েছে। অর্থাৎ অসিয়তের সময় ভুল করলে বণ্টনের সময় ঠিকভাবে বণ্টন করলে তা হবে উত্তম কাজ।
পরিষেশে…
মহান দয়ালু দাতা আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের উত্তম এবং সুন্দর বিধানগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দুনিয়ার জীবন সুখময় ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সৎ উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন।
যেহেতু আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কর্মকাণ্ড দেখেন এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব কথা শুনেন। তিনি মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল এবং দয়ালু। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ তাআলার ক্ষমা ও দয়ালা লাভে তাঁর বিধান পালনে একনিষ্ঠ হওয়া। আল্লাহ তাআলা তাঁর বিধান পালনকারীদের ক্ষমা প্রদান করুন এবং করুনা প্রদর্শন করুন।আমিন।