বিনা ভোটের লুটেরা সরকারকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে হবে: ড. মোশাররফ

0

সবকিছুতে সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে জনগণ কাঙ্ক্ষিত অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ফুঁসে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। সংবিধান, আইন, বিচার ব্যবস্থা সবকিছুতেই এ অবৈধ সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে জনগণ ফুঁসে উঠছে।

গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয়-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম, খুন করে এবং নানা ধরনের হেনস্তা, হয়রানি করে সারা বিশ্বে আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিনা ভোটের ফ্যাসিস্ট সরকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ সরকার বুঝতে পেরেছে, তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে। এ জন্য আখের লুটপাটে ব্যস্ত তারা। দ্রব্যমূল্য ক্রয়সীমার বাইরে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ চরমে গেলেও সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের দুঃখকে নিয়ে খেল-তামাশা করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রের মা। মাদার অব ডেমোক্রেসি হিসেবে তিনি উপাধি পেয়েছে। তাকে মুক্তি দিতেই হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন।’ এ লক্ষ্যে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এ ব্যর্থ, অযোগ্য, বিনা ভোটের লুটেরা সরকারকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে হবে। দেশ ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যাংক-বিমাসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী সরকারি লুটেরাদের বাণিজ্য। তারা বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছে। বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছে। দ্রব্যমূল্যে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা সরকারের লোক, তারাই সিন্ডিকেট তৈরি করে একদিকে লুটপাটে ব্যস্ত, অন্যদিকে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।

স্মরণসভায় অন্য বক্তারা বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছিলেন গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তির অতন্দ্র প্রহরী। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি এ সরকারের রাজনৈতিক রোষানলে এবং প্রতিহিংসায় পড়ে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা দেখে যেতে পারেননি।

বক্তারা আরও বলেন, বৃদ্ধ বয়সেও এ ফ্যাসিস্ট সরকার আন্তর্জাতিক আইন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ব্যারিস্টার মওদুদকে ৩০-৪০টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। শারীরিক ও মানুষিক চাপে পড়ে তিনি অসুস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন। বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে বর্তমান সরকার দেশকে একটি জেলখানায় পরিণত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com