খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ: মির্জা ফখরুল

0

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন একজন দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৬ মার্চ) ভাষা সৈনিক, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর এ দিনে আমি তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আইনি পেশার পাশাপাশি মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন একজন দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল, সরল ও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন এবং প্রখর ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সব সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান।

তিনি বলেন, মরহুম দেলোয়ার হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার নানা কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দেশ ও দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ দর্শন বুকে ধারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ ৭৮ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। মরহুম এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাঁচুরিয়ায় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

উল্লেখ্য, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার খিরাই পাচুরিয়া গ্রামে ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খোন্দকার আবদুল হামিদ ছিলেন আলেম এবং তার মাতা ছিলেন আকতারা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে অনার্স ও ১৯৫৩ সালে মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চার ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com