আ.লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়: বিএনপি

0

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখার জন্য মন্ত্রী-এমপিদের এসি রুম ছেড়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, হাজার কোটি টাকার মালিকের সঙ্গে শ্রমিকেরা এর তুলনা করে জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার । মাথা পিছু আয়ের মিথ্যা বক্তব্য আর উন্নয়নের বুলি শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া কিছু নয়, দেশের মানুষকে এর মাধ্যমে বোকা বানাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে বলছে ক্ষমতাসীনরা। সাধারণ মানুষের আয় কিন্তু ১৫হাজার টাকার বেশি নয়। তার থেকে ক্ষমতাসীনদের আয় অনেক বেশি। মাসে এক হাজার কোটি টাকা যাদের আয়, তাদের সাথে সাধারণ মানুষের গড় আয় মিলিয়ে জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। এসি রুমে বসে মানুষের দুঃখ বুঝতে পারছে না ক্ষমতাসীনরা৷

আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা এদেশকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭৪ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন এ দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। এক টুকরো রুটির জন্য মানুষ আর কুকুর টানাটানি করেছে। সেদিন বাসন্তী লজ্জা নিবারণের জন্য এক খণ্ড কাপড় পায় নাই। ‌সে মাছ ধরার জাল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছে। আজ একই অবস্থা শুরু হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উনারা (আওয়ামী লীগের নেতারা) বলে আমরা নাকি বেশি বুঝি, সব জায়গায় মাতব্বরি করি। এটা একটা অরাজনৈতিক ভাষা, অশালীন ভাষা। এটা মাতব্বরি করার প্রশ্ন নয়, ওনাদের জানতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মা তার সন্তানকে খেতে দিতে না পারার কারণে সন্তানের মুখে বিষ তুলে দিয়ে নিজে বিষ খেয়ে মরছে। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মরছে। গলায় দঁড়ি দিয়ে মরছে। অহরহ ঘটছে এসব। ‌এই অবস্থায় জনগণের সাথে রসিকতা করে, মশকরা করে বলা হয় জনগণের আয় বাড়ছে। জনগণ ভালো আছে।‌

তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনগুলোকে কেড়ে নিয়েছে, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‌ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। পুরোপুরিভাবে ক্রীতদাস করার সকল ব্যবস্থা তারা করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন দরকার জনগণের সরকার। জনগণের সরকার করতে হলে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। যা আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন, সমস্ত দেশের মানুষের ঐকবদ্ধ করে একটা দূর্বার আন্দোলের মাধ্যমে এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

নতুন নির্বাচন কমিশন সংলাপের নামে তামাশা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,  নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ দুর্বার আন্দোলনে সরকার পতন ঘটাতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাটসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com