পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি কক্ষে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে আসামি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আনিছুর রহমানকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার রাতে গ্রেফতার আনিছুরকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আনিছের বিরুদ্ধে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা করেন। তার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনিছকে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। কিশোরী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
সম্প্রতি সে অপহরণের শিকার হয় এবং তাকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরই কিশোরীর সঠিক বয়স নির্ধারণের জন্য, ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে কি না সে তথ্য জানতে তাকে ৬ ফেব্রুয়ারি রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করে পুলিশ। তার শারীরিক পরীক্ষা শেষে ৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ওই কিশোরী পরিবারের সদস্যদের জানায়, ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে তাকে যখন ৩ নম্বর কক্ষে ঢোকানো হয় তখন সেখানে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এর পরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে আনিছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করা হয়।
হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারটি নারী ভিকটিমদের জন্য সুরক্ষিত এলাকা। পুলিশ হেফাজতে থাকেন এখানে আসা ভিকটিমরা। ওইদিন দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ সদস্য উপ-পরিদর্শক ফিরোজা। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে এমন ঘটনা সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘কোনো কিছু জানতে হলে পরিচালককে বলেন। আমাকে কিছু বলতে বলা হয়নি। আমি কিছু বলতেও পারব না।’ আপনার দায়িত্ব পালনের সময় আপনার হেফাজতে থাকা একজন কিশোরীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে- এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।