বরগুনায় কিশোরী ধর্ষণ, আ’লীগ নেতা ও ছেলে গ্রেফতার
বরগুনায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের গ্রেফতার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, ‘মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই। কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সাথে তাদের বাসায় থাকে। আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনোই ভাবিনি। এ রকম হবে বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না।
তিনি আরো জানান, নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়। সে আমার ছোট মেয়েটার দিকে কু-নজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে আমি তার কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, ‘নুর ইসলামকে মুই খালু বোলাই। হ্যাগো ঘরে গেলে মোরে দোহানের সদাই আনতে দেতে আর হেরা খাইলে মোরেও খাওয়াইতে। তয় অনেক সময় খালু মোর দিগে ক্যামন হইরা যেন চাইতে। মাঝে মাঝে মোর গায় আত দেতে। এরপর হে কইতে ‘তোরে মুই বিয়া হরমু।’ হেইল্লাইগা মুই হের সব কতা হোনতাম। পরে একদিন হের পোয়া আরিফ ভাইয়ায় কয় ‘তুই যা করছো তা কিন্তু আমি জানি! এখন আমার সাথে না করলে সবাইকে বলে দিবো।’ হেইয়া কইয়া হে মোরে চাইপপা ধরে। আরো দুইদিন মোর লগে এইয়া হরছে। এহন সবাই কয় মোর প্যাডে নাকি বাচ্চা অইছে কিন্তু মোর খালু মোরে বিয়া হরে না।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। বরগুনা সদরের ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় ধরে আনে। তার আধা ঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।