বাংলাদেশের প্রায় ৮৪% নারী ক্রমাগত রাস্তা, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রে- এমনকি বাড়িতেও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ধর্ষণের ঘটনা ১ হাজার ১৯৪টি। এর মধ্যে ৪৮৯ জন নারী ও ৭০৫ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী নারী নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্বেগজনকহারে বেড়ে চলেছে। গতকাল চট্টগ্রামে আইনজীবী স্বামীর নির্যাতনে মাহমুদা খানম আঁখি নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটে। এ ছাড়াও গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে স্বামীর নির্যাতনে মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী। তার শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা জানান। উক্ত সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি উক্ত ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধীরা পেশি শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পার পেয়ে যাবে, ফলে এদেশে তনু, নুসরাতসহ অগণিত নারী ও শিশু হত্যার বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে দেশের সমগ্র নারী ও শিশুরা অনিরাপত্তায় থাকবে।