চাঁদা না দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতার গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ
মুন্সীগঞ্জের চরমোক্তারপুরে চাঁদার দাবিতে নিজের সাথে থাকা অবৈধ পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও মঙ্গলবার বিএনডিসির সার প্যাকেটজাতকরণ ও পাইকারী বিক্রয় কেন্দ্রের সার উত্তোলনকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ঠিকাদার নাসির মোল্লার ওপর হামলা, ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনি মোল্লাহ অ্যান্ড সন্স ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় চরমোক্তারপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সাথে সাথে র্যাব-১১-এর একটি টিম ও সদর থানার পুলিশ উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চরমোক্তারপুর এলাকায় মালিক ও ঠিকাদার নাসিরের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে তার কাছ থেকে চাঁদা ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাজ দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল (২৭) ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিনের (৩৬) নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।
হামলার শিকার নাসির মোল্লা জানান, ‘পঞ্চসারের মাঈনুদ্দিন, রফিক, রমিজ, অপুসহ ১৫ জনের একটি গ্রুপ এসে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে লাথি ও ঘুষি মারে। আমি পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে আমাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা। এরপর শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্ত্রাসী রুবেল (২৭) থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ অবস্থায় একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে গুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে।
তাৎক্ষণিক নাসির মোল্লার নেতৃত্বে শ্রমিকেরা নিয়ে চাঁদা দাবি ও বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলমও একই অভিযোগ করেন। রহিম ও মাইনুদ্দিন গ্রুপের অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের অত্যাচারে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’