বিবেকানন্দের যেসব বাণী আজও প্রাসঙ্গিক
আজ ১২ জানুয়ারি, অখণ্ড ভারতবর্ষের বিখ্যাত ধর্ম প্রচারক, দার্শনিক ও সাহিত্যিক স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮তম জন্মদিন। ১৮৬৩ সালের এই দিনে কলকাতার এক উচ্চবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। বাবা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী। শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক, চিকিৎসা সংক্রান্ত ও দাতব্য কাজের মধ্য দিয়ে সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলনের সূচনা করেন উপমহাদেশের এই ধ্যানী মনীষী। ব্রিটিশ ভারতে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণার প্রবর্তন করেছিলেন তিনি।
একুশ শতকেও সমাজ পরিবর্তন ও মানুষের মানবিক বোধ জাগ্রত করার ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দের কিছু বাণী খুব প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণাদায়ী। এই দিনে তাঁর কিছু বাণী উদ্ধৃত করা হলো-
১. সত্য বলার হাজার রাস্তা আছে, কিন্তু প্রতিটি সত্য হতে হবে।
২. জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না।
৩. পৃথিবীই হলো সব থেকে বড় ব্যায়ামাগার, যেখানে আমরা শক্ত সমর্থ হয়ে উঠি।
৪. মন ও মস্তিষ্কের দ্বন্দ্বে সব সময়ে অনুসরণ করবে মনকে।
৫. প্রতিদিন নিজের সঙ্গে অন্তত একবার কথা বলো, অন্যথায় হারাতে হবে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির সংসর্গ।
৬. সেই বিষয়গুলোই ত্যাগ করো, যা তোমাকে শরীর, বুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল করে তোলে।
৭. নেতৃত্বে যখন থাকবে তখন ভাব হতে হবে দাসের মতো, হতে হবে সম্পূর্ণ স্বার্থহীন, অসীম ধৈর্য ধরতে হবে। তাহলেই সাফল্য শুধুমাত্র তোমারই।
৮. মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সকলকে জাগাতে হবে; তবেই তো দেশের কল্যাণ।
৯. তুমি খ্রিষ্টের মতো ভাবলে তুমি একজন খ্রিষ্টান, তুমি বুদ্ধের মতো ভাবলে তুমি একজন বৌদ্ধ। তোমার ভাবনা, অনুভূতিই তোমার জীবন, শক্তি ও জীবনীশক্তি।
১০. মুক্তি কী? যখন তুমি প্রতিটি মানুসের মনের মন্দিতে ঈশ্বরের অবস্থান অনুভব করতে পারবে, তখন সমস্ত বন্ধন থেকে তুমি মুক্তি পাবে। তুমি মুক্ত হবে।
১১. নিজের প্রতি সৎ থাকা, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাই সবচেয়ে মহান ধর্ম।
১২. চিন্তাই আমাদের তৈরি করেছে, তাই কি নিয়ে চিন্তা করছো তার দিকে খেয়াল রাখো। শব্দ পারে না, কিন্তু চিন্তা বহুকাল জীবিত থাকতে পারে।
১৩. জীবনে সব থেকে বড় সাফল্য, সব থেকে বড় আনন্দের রহস্য এই যে, কাজের কোনও প্রত্যাশা না রাখা। সম্পূর্ণ স্বার্থহীন মানুষই জীবনে সব থেকে সফল।
১৪. ঈশ্বর আদি-অনন্ত। তা সত্ত্বেও মানুষ একটি ছোট্ট বইয়ের মধ্যে তাঁকে ধরানোর চেষ্টা করে। এর থেকে ন্যক্কারজনক আর কিছুই হতে পারে না, যদি কেউ এটা বলেন যে, কোনও একটি বইয়ে ঈশ্বরের সমস্ত জ্ঞান বর্ণিত রয়েছে।
১৫. অসংখ্য বই রয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে সময় খুবই অল্প। তাই যেটা দরকার সেটা সঙ্গে নিয়ে চলো। সেই জ্ঞানকে জীবনের পাথেয় করো।