১৭ সিনেমায় শেষ হচ্ছে বছর
ঢাকাই সিনেমায় খরা চলছে বহু বছর ধরেই। কিন্তু তবুও বছরে পঞ্চাশটিরও অধিক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছিল প্রেক্ষাগৃহে।কিন্তু ২০২০ সাল ছিল ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই হতাশার একটি বছর।
চলতি বছরের শেষ শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ১৭টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর আর কোন বছর এত কম সংখ্যক সিনেমা মুক্তি পায়নি বলে জানা যায়।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকে দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহ। যার ফলে বিপাকে পড়ে পুরো ইন্ডাস্ট্রি। ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে ১৬ অক্টোবর ফের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করা হয় প্রেক্ষাগৃহ। এই দীর্ঘ সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় কম সংখ্যক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির তথ্যমতে, ২০২০ সাল শুরু হয় ‘জয়নগরের জমিদার’ সিনেমা দিয়ে। আর মুক্তিপ্রাপ্ত বছরের সর্বশেষ সিনেমা ‘তুই আমার রাজা আমি তোর রানি’ ও ‘গোর’।
‘জয়নগরের জমিদার’ মুক্তি পায় ১০ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পায় সাফটা চুক্তিতে আমদানি করা ভারতীয় সিনেমা ‘হুল্লোড়’। বছরের সবচেয়ে বেশি সিনেমা মুক্তি পায় ফেব্রুয়ারিতে-‘গণ্ডি’ (৭ ফেব্রুয়ারি), ‘বীর’ (১৪ ফেব্রুয়ারি), আমদানি করা ভারতীয় বাংলা সিনেমা ‘রবিবার’ (২১ ফেব্রুয়ারি) ও ‘হৃদয় জুড়ে’ (২৮ ফেব্রুয়ারি)। ৬ মার্চ একসঙ্গে মুক্তি পায় ‘শাহেনশাহ’, ‘চল যাই’ ও ‘হলুদ বনি’।
প্রেক্ষাগৃহ পুনরায় খোলার পর প্রথম সিনেমা হিসেবে মুক্তি পায় ‘সাহসী হিরো আলম’। ২৩ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। এরপর নতুন সিনেমা সঙ্কটে দেড় মাস পুরনো সিনেমা চলে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে।
বছর অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’ মুক্তি পায় ১১ ডিসেম্বর। একইদিন মুক্তি পায় ‘রূপসা নদীর বাঁকে’। ১৮ ডিসেম্বর ‘একজন মহান পিতা’ ও ‘সুবর্ণ রেখা’ সিনেমা মুক্তি পায়।
মাত্র ১৭ সিনেমায় ২০২০ সাল শেষ করছে ঢাকাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। তবে আগামী বছর সকল হতাশা কাটিয়ে পঞ্চাশ অধিক সিনেমা প্রেক্ষাগৃহ মাতাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না পেলেও প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে অ্যাপে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘নবাব এলএলবি’।