আজ থেকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে শাকিব-মাহি
বিশ্বজুড়েই এখন অ্যাপের জয়জয়কার। শর্টফিল্ম, ওয়েব ফিল্ম তো রয়েইছে, বিগ বাজেটের সিনেমাও মুক্তি পাচ্ছে নিয়মিত অ্যাপে। নানা রকম অনলাইন স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলোতে সেসব সিনেমার সাফল্যের গল্পটাও মন্দ নয়। হলিউড-বলিউডের অনেক ডাকসাইটে তারকারাও হাজির হচ্ছেন অ্যাপগুলোতে।
এবার বাংলাদেশের শীর্ষ দুই তারকা শাকিব খান ও মাহিয়া মাহিও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। এদেশে সবাই যখন অ্যাপে সিনেমা মুক্তিতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অলাভজনক বলে মনে করছে তখনই এই জুটিকে নিয়ে নির্মিত বিগ বাজেটের ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে নতুন ওটিটি প্লাটফর্ম আই থিয়েটারে।
ছবির পরিচালক অনন্য মামুন জাগো নিউজকে নিশ্চিত করলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায় আই থিয়েটারে দেখা যাবে ‘নবাব এলএলবি’। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো অনলাইনে মুক্তি পাবে শাকিব ও মাহির সিনেমা।
সেইসঙ্গে বাংলাদেশে প্রথম কোনো বাণিজ্যিক ছবি হিসেবেও এটি ওটিটি প্লাটফর্ম মুক্তি পাচ্ছে। যা ইন্ডাস্ট্রির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি নতুন সম্ভাবনার দুয়ারকেও খুলে দিতে যাচ্ছে। ছবিটি লাভের মুখ দেখলে বলার অপেক্ষা রাখে না করোনার কারণে ছবি মুক্তি দিতে না পারা প্রযোজকরাও অনলাইনে ভরসা রাখবেন। চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে সিনেমার বাজার। এই ভাবনা থেকে অনন্য মামুনের সিদ্ধান্তটিও যুগান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
সিনেমাটির পরিচালক অনন্য মামুন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। আমি ভেবেছিলাম যে করোনায় তো সারা পৃথিবীতেই সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। শুধু আমরাই পারিনি। কেন? যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে তো। নইলে আমরাই পিছিয়ে যাবো। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গতিটাও কমে যাবে। গেছেও অনেকটা। সেজন্যই অনলাইনে সিনেমা মুক্তির ঝুঁকিটা নিলাম। আমাদের বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খান নিজেও এই ঝুঁকিটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এটাও বলতে চাই, আমার চলচ্চিত্র পরিচালনা জীবনের সেরা ছবি ‘নবাব এলএলবি’। গল্প, কাস্টিং, নির্মাণে চেষ্টা করেছি উপভোগ্য সিনেমা উপহার দেয়ার। করোনা মহামারির মধ্যে অনেক ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করেছি। তার ফল পাবো সেই প্রত্যাশা করছি।’
‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় শাকিব-মাহি ছাড়াও অভিনয় করেছেন স্পর্শিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রাশেদ মামুন অপু, আনোয়ার প্রমুখ। ছবির ‘জাস্ট চিল’ শিরোনামের পার্টি গানে দেখা যাবে হৃদি শেখকে।