দোদুল্যমানতায় অপু-বুবলীর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার
ঢাকার চলচ্চিত্রের একটি চমৎকার অধ্যায় রচিত হয়েছিল শাকিব খান, অপু বিশ্বাস এবং বুবলীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সে অধ্যায় এখন অতীত। একবার এফডিসির করাই তলায় শাহাদাৎ হোসেন লিটনের অহংকার ছবির শুটিং করছিলেন শাকিব খান। নাড়াছড়া করছিলেন সিএনজির একটি টায়ার। কারণ তিনি ছবিটিতে সিএনজির ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম আমি।
শাকিবের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর জানতে চাইলাম, কেমন আছে শাকিব খান। জবাবে শাকিব বললেন, ‘এই চলে যাচ্ছে।’ তার কথার মধ্যে আন্তরিকতার পরিবর্তে তাচ্ছিল্যের একটা ভাব পেলাম। একইভাবে জবাবে বললাম, ‘চালিয়ে যাও। খেয়াল রেখো যাতে পাংকচার না হয়ে যায়।’ শাকিব অর্থপূর্ণভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেও আমি আমার গতিতেই চলে গেলাম। তারপর আর বেশিদিন যায়নি। এর মধ্যেই অপু বিশ্বাস সন্তানসহ ফিরে এলেন কলকাতা থেকে। সরাসরি একটি স্যাটেলাইট টিভিতে উপস্থিত হয়ে শাকিব সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরলেন।
সেদিনই এই জুটির ভাগ্যে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। এরপর অপু বিশ্বাসকে কোনো নির্মাতাই শাকিব খানের বিপরীতে ভাবেননি। অপু বিশ্বাস এখন এককভাবে চেষ্টা করছেন। তার ক্যারিয়ার কেমন হবে সেটা এখনই বুঝা যাচ্ছে না। অপু-বাপ্পি অভিনীত শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের বর্তমান বাজার দিয়ে সাফল্য বা ব্যর্থতার কোনো মানদÐ ঠিক করা যাবে না। এছাড়া তিনি কাজ করছেন অনুদানের ছায়াবৃক্ষ ছবিতে। যেহেতু ছবিটি অনুদানে নির্মিত সেহেতু এটির ভবিষ্যৎ নির্ধারিতই। অন্যদিকে বুবলী ক্যাসিনো ছবির শেষ শুটিং করেই দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে গেছেন। মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি উঁকিঝুঁকি দেন। তাতে আগ্রহীদের সন্তুষ্টি আসছে না।
বুবলী কোথায় আছেন, কেমন আছেন, তিনি সন্তান সম্ভবা – এ নিয়ে যে গুজব ডালপালা বিস্তার করছে তারও কোনো সমাধান নেই। ধরে নেয়া যায়, গুজব গø্যামার জগতের জন্য অলংকারের মতো। বিদেশি তারকারা অনেক ক্ষেত্রেই অর্থের বিনিময়ে গুজব রটান। কিন্তু বুবলীদের নিয়ে এমনিতেই গুজব রটে যায়। অনেকে অনুমান করছেন, বুবলীও না শেষ পর্যন্ত অপু বিশ্বাসের মতো দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন। তবে বুবলীর ক্যারিয়ারও থমকে গেছে। বট গাছের নিচে কখনো আত্মশক্তি বিশিষ্ট গাছা জন্মায় না। অপু-বুবলীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।