উজি পিস্তল কেনা ৫৩ জনের তথ্য সংগ্রহ করছে ডিবি
দেশে আমদানি হওয়া ১০৯টি অত্যাধুনিক উজি পিস্তলের ৫৩টি কাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে, তারা কীভাবে এসব অস্ত্র কিনেছে, কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার অনুসন্ধানে নেমেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিবি জানায়, প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং যারা এ পিস্তল কিনেছেন তাদের অস্ত্রের লাইসেন্সের তথ্য চেয়ে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। এসব পিস্তল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ও তাদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, কাদের কাছে এ পিস্তল রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারা আসলে এ অস্ত্র কেনার অ্যাবিলিটি রাখে কি না, কোন ধরনের লাইসেন্সের বিপরীতে তারা এ অস্ত্র কিনেছে সেই বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তাদের নামে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ‘টাকায় মিলছে উজি পিস্তল’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ প্রকাশ পায়। এতে নড়েচড়ে বসে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ। এরপরই কাদের হাতে এ পিস্তল রয়েছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়।
গত ২০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ মো. মিনাল শরীফ (৫৬) নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করে। তার গাড়ি তল্লাশি করে বিদেশি মদ, বিয়ার ও একটি .২২ বোর রাইফেলের লাইসেন্স পায় ডিবি। পরে মিনাল শরীফের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ধানমন্ডির ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৪৪ রাউন্ড কার্তুজসহ একটি (ইউজেডআই) উজি পিস্তল পাওয়া যায়। অস্ত্রের ধরন ও লাইসেন্সের গরমিল দেখে তা জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে ডিবির অনুসন্ধানে উঠে আসে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সের বিপরীতে কেনাবেচা হচ্ছে শক্তিশালী এই উজি পিস্তল। .২২ বোর রাইফেলের লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এসব পিস্তল বিক্রি করছে যা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির সুযোগ নেই।
বেলজিয়াম আর্মড ফোর্সেস ও ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সে এটি ব্যবহৃত হয়। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত পিস্তলের চেয়ে এটি অত্যাধুনিক। এর ম্যাগাজিনের ধারণক্ষমতা ২০ রাউন্ড। অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত পিস্তলের সর্বাধিক ম্যাগাজিন ধারণক্ষমতা ১৫ রাউন্ড।